বেতন ছাড়া ছাড়বে না মহাসড়ক, গাজীপুরে ৩০ কারখানায় ছুটি ঘোষণা
গাজীপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১০ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৩৪ পিএম
বকেয়া বেতনের দাবিতে প্রায় ২৮ ঘণ্টা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছে গাজীপুর মহানগরীর মালেকের বাড়ি এলাকার টিএনজেড গ্রুপের শ্রমিকরা।
আন্দোলনরত শ্রমিকদের দাবি, বারবার বেতন পরিশোধের আশ্বাস দেওয়া হলেও শেষ পর্যন্ত সে কথা রাখা হয়নি। যার ফলে বেতন ছাড়া মহাসড়ক ছাড়বেন তারা।
এমন পরিস্থিতিতে এই এলাকার ২৫টি কারখানায় ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
রোববার (১০ নভেম্বর) দুপুরে গাজীপুর শিল্পাঞ্চল পুলিশ-২ এর পুলিশ সুপার সারোয়ার আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, গাজীপুর মহানগরীর মালেকের বাড়ি এলাকার টিএনজেড গ্রুপের শ্রমিকরা গতকাল (শনিবার) সকাল ৯টা থেকে সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসের এই দুই মাসের বেতনের জন্য ঢাকা-ময়মনসিংহ হাইওয়ে অবস্থান করছে। তাদের একটাই কথা বেতন না পাওয়া পর্যন্ত আমরা হাইওয়ে রোড ছাড়বো না।
সারোয়ার আলম বলেন, বকেয়া বেতন পরিশোধের জন্য মালিকপক্ষকে একাধিকবার সময় দেওয়া হয়েছিল, ওনারা বার বার বেতন পরিশোধে ব্যর্থ হয়েছেন। যে কারণে শ্রমিকরা এখন আর আমাদের কথা আর বিশ্বাস করে না। আমরা কোন মুখে ওদেরকে বলবো, তোমরা আন্দোলন প্রত্যাহার করো, তোমাদের একটা ব্যবস্থা আমরা করে দিবো। শ্রমিকদের মতই মালিকের প্রতি আমাদেরও আস্থা নেই। যে কারণে ওরা গতকাল থেকে বসে আছে।
তিনি বলেন, আমরা তাদের একাধিকবার বুঝানোর চেষ্টা করেছি, আমাদের অফিসে এসে বসো, অবস্থান নাও। কিন্তু তারা নাছোড় বান্দা মহাসড়ক ছাড়বে না। এটাকে কেন্দ্র গতকাল সন্ধ্যায়ও তাদেরকে বোঝানো হয়েছে, রাতেও চেষ্টা করেছিলাম তারা যায়নি। আজকে তারা আছে। এই ধারাবাহিকতায় টিএনজেড এর শ্রমিকরা কলম্বিয়া, ভোগড়া বাইপাস, চৌরাস্তায় এদিকে যে কয়টি কারখানার আছে এখন তারা ছুটি দিয়ে দিয়েছে। শ্রমিকরা ভেতরে ঢুকতে পারছে না।
পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, আমরা আবারও চেষ্টা করতেছি। একটু আগে সেনাবাহিনী এসেছিল, আমরাসহ কথা বলেছি। আশা করি এটার সমাধান হবে। এটা নিয়ে আমাদের সিনিয়ররা আছেন, বিজিএমইএ, শ্রম অধিদপ্তর কাজ করছে।
তিনি আরও বলেন, এই প্রতিষ্ঠানের দুজন মালিক। বর্তমানে একজন দেশের বাইরে অবস্থান করছেন। যিনি দেশে আছেন তার সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তিনি মন্ত্রণালয়ে বসে আছেন। যেখানে এক্সপোর্ট বিকল্প আপ ফান্ড আছে। এখানে তার কিছু টাকা আছে। তিনি চাচ্ছেন এই টাকা যদি তাকে ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়, ১১-১২ কোটি টাকার মতো তাহলে ওনি এই দুই মাসের বেতনের টাকা পরিশোধ করতে পারবেন। জরুরি মুহূর্তে ১১ কোটি থেকে ১২ কোটি টাকার দরকার বলে তিনি আমাকে জানিয়েছেন।