মিঠামইনে সংঘর্ষে আহত ২০, ঢামেকে ভর্তি ৪
কিশোরগঞ্জ ব্যুরো
প্রকাশ: ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:২৯ পিএম
কিশোরগঞ্জের হাওড় উপজেলা মিঠামইনে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে টেঁটাবিদ্ধসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় টেঁটাবিদ্ধ ৪ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল এবং ৩ জনকে কিশোরগঞ্জের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার উপজেলার ঘাগড়া ইউনিয়নের ঘাগড়া বাজারসংলগ্ন নগদাপাড়া গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানায়, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ঘাগড়া পশ্চিমপাড়া গ্রামের মাওলানা শেরজাহান ও পূর্বপাড়া সাবেক মেম্বার খোকন মিয়ার লোকজনের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। গত দুই দিন ধরে ওই দুইপক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পালটা ধাওয়ার ঘটনা চলে আসছিল।
বৃহস্পতিবার সকালে খোকন মেম্বার গ্রুপের কয়েকজন ঘাগড়া বাজারে গেলে তাদের মারধর করে প্রতিপক্ষের লোকজন। এর জেরে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উভয়পক্ষের লোকজন বল্লম, টেঁটা, সুরকি, হলঙ্গাসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মুখোমুখি সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় গোটা এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। ২ ঘণ্টা ধরে চলা এ সংঘর্ষে নারীসহ উভয়পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়।
আহতদের মধ্যে ৭ জনকে প্রথমে কিশোরগঞ্জের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে ঘাগড়া পূর্বপাড়া গ্রামের মৃত ফুল মিয়ার ছেলে সুজন মিয়া, তার স্ত্রী জামেলা খাতুন, মৃত রইছ ইসলামের ছেলে আবু তাহের মিয়া, তার ভাই আবু বকরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়।
এরা সবাই খোকন মেম্বার সমর্থক গ্রুপের বলে জানা গেছে। টেঁটাবিদ্ধ হয়ে আহত পশ্চিমপাড়া গ্রামের মৃত হযরত আলীর ছেলে আবু হানিফ, মোমেন মীরের ছেলে বাবু ও সুপন মিয়ার স্ত্রী খালেদাকে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। শুক্রবার দুপুরে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোনো পক্ষই লিখিত অভিযোগ নিয়ে আসেনি। অভিযোগ পেলেই আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মিঠামইন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিউল আলম।