হাট-বাজারে নতুন পাতা পেঁয়াজ, রাত জেগে পাহারায় কৃষক
মদন মোহন ঘোষ. দেওয়ানগঞ্জ (জামালপুর)
প্রকাশ: ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৫৬ পিএম
জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার নদী তীরবর্তী চরাঞ্চলে জেগে ওঠা জমিতে পেঁয়াজ চাষিরা পেঁয়াজ চাষ করে এখন লাভবান হচ্ছেন। হাটবাজারগুলোতে বেশি দামে পেঁয়াজ বিক্রি করতে পেরে তাদের মুখে হাসি ফুটলেও খেত থেকে চুরি হয়ে যাচ্ছে নতুন পেঁয়াজ। আর তাই রাত জেগে জমির পেঁয়াজ পাহারা দিচ্ছেন কৃষকরা।
দেওয়ানগঞ্জ কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আলমগীর হোসেন এবং উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মুকুল জানান, পাতা পেঁয়াজ (পেঁয়াজ কলি) নদীর কোলায় জেগে ওঠা চরে মাত্র ৩৫-৪০ দিনে পরিপক্ব হয়। পেঁয়াজ দেখতেও সুন্দর ও লাল টকটকে। উপরে পেঁয়াজ কলি গাঢ় সবুজ লম্বা। এবার ২৫০ হেক্টর জমিতে পাতা পেঁয়াজ চাষ করা হয়েছে। প্রতি বিঘায় উৎপাদন ২৫-৩০ মণ। বর্তমান বাজারে পাতা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা ১ কেজির আঁটি। বিক্রি হিসাব অনুযায়ী প্রায় ১ কোটি টাকার পেঁয়াজ কলি উৎপাদন হয়েছে।
দেওয়ানগঞ্জের যমুনা তীরবর্তী চরাঞ্চল চিকাজানী খোলাবাড়ী এলাকা সরেজমিন ঘুরে ও কৃষকের সঙ্গে কথা বলে এসব কথা জানা যায়।
পাতা পেঁয়াজ চাষি আ. রহমান জানান, এবার পেঁয়াজ চাষ ভালো হলেও পানির কারণে পচে গেছে। কিছু পেঁয়াজ টিকেছে।
চর কালিকাপুরের কৃষক আমের আলী বলেন, তার পেঁয়াজের ফলন ভালো হয়েছে। এর আগে কোনো দিন জমি থেকে পেঁয়াজ চুরি হয়নি। এবার বাজারে চাহিদা বেশি থাকায় জমি থেকে পেঁয়াজ চুরি হয়ে যাচ্ছে। পেঁয়াজ রক্ষায় পরিবারের লোকজন নিয়ে রাত জেগে পাহারা দিতে হয়।
কৃষক শফিকুল জানান, এক বিঘা জমিতে পেঁয়াজ চাষে খরচ হয়েছে ৩০ হাজার টাকা। এর মধ্যে ১০ হাজার টাকার পেঁয়াজ বিক্রি করেছেন। আরও ৬০-৭০ হাজার টাকা বিক্রি করবেন। পেঁয়াজের ফলন ভালো হয়েছে।
বুধবার দেওয়ানগঞ্জ পৌরসভার হাট বাজার ঘুরে দেখা গেছে কৃষকরা তাদের উৎপাদিত পাতা পেঁয়াজ বাজারে নিয়ে এসেছেন। পুরাতন পেঁয়াজের তুলনায় নতুন পেঁয়াজ দেখে দাম কম হওয়ায় ক্রেতাদের নতুন পেঁয়াজ কিনতে আগ্রহী বেশি।