বিদ্যালয় গেটে সহপাঠীদের ছুরিকাঘাতে স্কুলছাত্র জখম
নেত্রকোনা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৩৭ পিএম
নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে বিদ্যালয় গেটে সহপাঠীদের ছুরিকাঘাতে পারভেজুল হক ফাহিম (১৬) নামে এক স্কুলছাত্র গুরুতর জখম হয়েছে। তার পিঠে ও বুকে ছুরি দিয়ে চারটি আঘাত করা হয়েছে।
পরে তাকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ফাহিম উপজেলার ধীতপুর গ্রামের জামাল মিয়ার ছেলে। সে মোহনগঞ্জ পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র।
মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিদ্যালয় গেটে ফাহিমকে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে ফাহিমের বাবা জামাল মিয়া মোবাইল ফোনে এ তথ্য জানিয়েছেন।
ফাহিমের বাবা জামাল মিয়া জানান, গ্রামের বাড়ি থেকে গিয়েই স্কুলে পড়াশোনা করে ফাহিম। সোমবার স্কুলে সহপাঠীদের সঙ্গে সামান্য বিষয় নিয়ে দ্বন্দ্ব হয়। সিনিয়রদের মাধ্যমে এদিনই দ্বন্দ্ব মিটমাট হয়ে যায়। তবে মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পরীক্ষা শেষে বাড়ি আসার জন্য স্কুলের গেটে অবস্থান করছিল ফাহিম। এ সময় কয়েকজন সহপাঠীসহ ১০-১৫ জন তাকে ঘিরে ধরে। একপর্যায়ে ছুরি দিয়ে ফাহিমের পিঠে ও বুকে চারটি আঘাত করে চলে যায় তারা। পরে শিক্ষক ও অন্য সহপাঠীরা মিলে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। পরে অবস্থা গুরুতর হওয়ায় ফাহিমকে ময়মনসিংহ হাসপাতালে পাঠান চিকিৎসক।
জামাল মিয়া আরও জানান, বর্তমানে ফাহিমের অবস্থা শঙ্কটাপন্ন। প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। এখনো বলা যাচ্ছে না কী হয়। এ ঘটনার বিচার দাবি করেন তিনি। চিকিৎসা শেষে এলাকায় গিয়ে এ ঘটনায় থানায় মামলা করবেন বলেও জানান তিনি।
মমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত ফাহিম মোবাইল ফোনে জানায়, সামান্য একটা বিষয় নিয়ে কয়েকজন সহপাঠীর সাথে দ্বন্দ্ব হয়েছিল। পরে অবশ্য আলোচনা করে সেটা মিটমাট হয়েছিল; কিন্তু আজকে পরীক্ষা শেষে গেটে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় দুইজন পরিচিত সহপাঠী তাদের সঙ্গে আরও ১০-১৫ জন মিলে আমার ওপর হামলা চালায়। পিঠে তিনটা ও বুকে একটাসহ মোটা ছুরি দিয়ে চারটা আঘাত করেছে। বুকে ব্যথার কারণে আর কথা বলতে পারেনি ফাহিম।
এ বিষয়ে মোহনগঞ্জ পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রফিকুজ্জামান ইদ্রিসী বলেন, ঘটনার পর ওই শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। আমরা শিক্ষকরাও সেখানে গিয়েছিলাম। শরীরের সামনের আঘাতগুলো ঝুঁকিপূর্ণ মনে করে চিকিৎসক তাকে মমেক হাসপাতালে রেফার্ড করেছেন। পরিবারের সঙ্গে কথা বলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।