ক্ষোভে যুবককে হত্যার পর অণ্ডকোষ-বিশেষ অঙ্গ কেটে ফেলেন স্বামী
আব্দুল মালেক, শ্রীপুর (গাজীপুর)
প্রকাশ: ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৩২ পিএম
সোমবার দুপুরে শ্রীপুর পৌর এলাকার চন্নাপাড়া গ্রামে স্ত্রীর পরকীয়া প্রেমিককে কুপিয়ে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় অভিযুক্ত আসামি স্বামী আজিজুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত আসামি হত্যাকাণ্ডের সত্যতা স্বীকার করে লোমহর্ষক বর্ণনা দিয়েছে। স্বামী বলেন- ক্ষোভে যুবককে হত্যার পর অণ্ডকোষ-বিশেষ অঙ্গ কেটে ফেলেন তিনি।
সোমবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশাল উপজেলার কাঁঠালি গ্রামে অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেফতার করা হয়। আসামিকে শ্রীপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
র্যাবের দেওয়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে গ্রেফতারকৃত আজিজুলের লোমহর্ষক বর্ণনা দেওয়া হয়েছে।
এতে জানানো হয়েছে- সোমবার সকালে রাজমিস্ত্রি আজিজুল ইসলাম কাজে চলে যায়। কাজে পৌঁছে তিনি জানতে পারেন কয়েকটি যন্ত্রাংশ সঙ্গে আনা হয়নি। এরপর তিনি পুনরায় বসতবাড়িতে ফিরে ঘরের দরজা বন্ধ পেয়ে ভেতরে স্ত্রীর মোবাইল ফোনে কথোপকথন শুনতে পান। এ সময় স্ত্রী তাসলিমা তার পরকীয়া প্রেমিক আশরাফুল ইসলামকে চলে আসতে বলেন। তার স্বামী কাজে চলে গেছে সন্ধ্যায় বাড়ি আসবে।
স্ত্রীর এসব কথোপকথন শুনে স্বামী আজিজুল বসতবাড়ির ভেতর একটি বাথরুমে বসে অপেক্ষা করতে থাকেন। এর কিছুক্ষণ পর পরকীয়া প্রেমিক আশরাফুল ইসলাম আজিজুলের বাড়িতে আসে। ঘরের দরজা খুলে দেয় আজিজুলের স্ত্রী তাসলিমা। পরকীয়া প্রেমিক আশরাফুল ইসলামকে ঘরের ভেতর ঢুকিয়ে পুনরায় ঘরের দরজা বন্ধ করে টেলিভিশনের ভলিউম বাড়িয়ে পরকীয়ায় লিপ্ত হয়। এর কিছুক্ষণ পর স্বামী আজিজুল এসে সজোরে ঘরের দরজায় কড়া নাড়ে।
কিছুক্ষণ পর স্ত্রী তাসলিমা ঘরের দরজা খুলে দেয়। আজিজ ঘরে প্রবেশ করে দেখে ঘরের ভেতর পরকীয়া প্রেমিক আশরাফুল। এরপর তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এ সময় আজিজ ক্ষিপ্ত হয়ে ধারালো বঁটি নিয়ে এলোপাতাড়ি কুপানো শুরু করে পরকীয়া প্রেমিক আশরাফুলকে। স্ত্রী তাসলিমা বাধা দিতে এগিয়ে এলে তাকেও কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। পরকীয়া প্রেমিকের মৃত্যু নিশ্চিত হলে ধারালো বঁটি দিয়ে অণ্ডকোষ ও পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলে। এরপর ঘরের বাহির দিয়ে তালাবদ্ধ করে দ্রুত পালিয়ে যায় আজিজ।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়েছে, পরকীয়া প্রেমিক আশরাফুল ইসলামের কারখানায় চাকরির সুবাদে অনেক আগে থেকেই তাদের সঙ্গে পরকীয়ার সম্পর্ক হয়। কারখানা ছুটির দিন অর্থাৎ বেশিরভাগ শুক্রবার তারা দুজন অনৈতিক কাজে লিপ্ত হতো। শুক্রবার দিন বিশেষ কাজের কথা বলে কারখানায় গিয়ে অনৈতিক কাজে লিপ্ত হতেন তাসলিমা।
শ্রীপুর থানার ওসি জয়নাল আবেদীন মণ্ডল বলেন, নিহতের বাবা আব্দুল ওয়াহাব বিশ্বাস বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। সেই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আজিজুল হককে আদালতে পাঠানো হয়েছে।