দেড় মাস পর পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হলো সাজেক
রাঙামাটি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৩৬ পিএম
দেড় মাস পর পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে দেশের অন্যতম পর্যটন এলাকা রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেকভ্যালি। এর আগে পাহাড়ে ঘটে যাওয়া সাম্প্রদায়িক সহিংসতা ঘটনায় ২০ সেপ্টেম্বর সাজেক ঘুরতে গিয়ে সেখানে পর্যটকরা আটকা পড়লে নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে ওই দিন থেকে পর্যটকদের সাজেক ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করে প্রশাসন।
পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসায় সাজেক ভ্রমণের ওপর এ বিধিনিষেধ তুলে নেওয়া হলো। এতে মঙ্গলবার থেকে আগের মতো সাজেক ঘুরতে যেতে পারবেন যে কেউ পর্যটক।
রাঙামাটি জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, ইতোমধ্যে ১ নভেম্বর থেকে জেলার অন্যান্য এলাকায় পর্যটকদের জন্য ভ্রমণ বিধিনিষেধ তুলে নেওয়া হয়েছে; কিন্তু সাজেকের অবস্থানগত কারণে খাগড়াছড়ি জেলার সড়ক হয়ে যাতায়াত করতে হওয়ায় সাজেক ভ্রমণের বিধি-নিষেধ খাগড়াছড়ি জেলার সঙ্গে ৫ নভেম্বর থেকে প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়।
এদিকে গত দেড় মাস ধরে সাজেকে পর্যটক ভ্রমণ করতে না পারায় ৮-৯ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তারা জানান, সাজেকে ১১৬টি আবাসিক হোটেল, রিসোর্ট ও কটেজ রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে বহুসংখ্যক খাবার হোটেল ও রেস্তোরাঁ। গত দেড় মাস পর্যটকশূন্য থাকায় এসব হোটেল, রিসোর্ট, রেস্তোরাঁয় কোনোরকম বেচাকেনা বা লেনদেন ছিল না।
সাজেক রিসোর্ট-কটেজ মালিক সমিতির সভাপতি সুবর্ণ দেব বর্মণ বলেন, দেড় মাসে আমাদের প্রায় ৮-৯ কোটি টাকার লোকসান হয়েছে। খরচ কমাতে অনেক কর্মচারীকে ছুটিতে পাঠাতে হয়েছে। অবশেষে বিধি-নিষেধ তুলে নেওয়ায় আমরা কিছুটা আশার আলো দেখতে পাচ্ছি।
জেলা প্রশাসক মো. মোশারফ হোসেন খান বলেন, রাঙামাটিতে পর্যটক ভ্রমণে যে বিধিনিষেধ ছিল, তা গত ১ নভেম্বর থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে; কিন্তু সাজেক রাঙামাটি জেলায় হলেও অবস্থানগত কারণে খাগড়াছড়ি জেলার সঙ্গে ৫ নভেম্বর থেকে এ বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়েছিল। তাই ৫ নভেম্বর থেকে পর্যটকরা সাজেকে ভ্রমণ করতে পারবেন। তাছাড়া বর্তমানে সাজেকে নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কার তেমন কিছু নেই।