Logo
Logo
×

সারাদেশ

পরকীয়ার অপবাদ দিয়ে হাফেজকে পিটিয়ে হত্যা, প্রধান আসামি গ্রেফতার

Icon

তালতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:২৯ পিএম

পরকীয়ার অপবাদ দিয়ে হাফেজকে পিটিয়ে হত্যা, প্রধান আসামি গ্রেফতার

বরগুনার তালতলীতে পরকীয়ার অপবাদ দিয়ে হাফেজ মো. আমির হোসেন (৪৫) নামে একজনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলার পলাতক প্রধান আসামি উপজেলার কাজিরখাল এলাকার সেকান্দার ঘরামীকে পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ থেকে আটক করেছে র‌্যাব-৮।

র‌্যাব সদস্যরা সোমবার সন্ধ্যায় মির্জাগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ আমড়াগাছিয়া এলাকা থেকে আটক করে রাতেই তাকে তালতলী থানায় সোপর্দ করেন।

স্থানীয় ও মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কাজিরখাল গ্রামের সেকান্দার আলী ঘরামী ও সিদ্দিক ঘরামী গংদের সঙ্গে পার্শ্ববর্তী হাফেজ আমির হোসেন খানের জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ ও গত জুন মাসের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের জেরে কয়েক দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। ঘটনার দিন গত ২১ অক্টোবর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে কাজিরখাল চৌরাস্তায় বসে হঠাৎ হাফেজ আমির হোসেন খান অসুস্থ হয়ে পড়লে সোবহান মৃধা তাকে তাৎক্ষণিক রাস্তার পাশেই গোলেনুর বেগম নামের এক বিধবা মহিলার বাড়িতে নিয়ে যান।

সেকান্দার আলী ঘরামী ও সিদ্দিক ঘরামী গংরা টের পেয়ে লাঠিসোটা ও দেশীয় অস্ত্র দা, রামদা নিয়ে বিধবার বাড়িতে গিয়ে পরকীয়ার অপবাদ দিয়ে লোকজন নিয়ে বেধড়ক মারধর করে। তাৎক্ষণিক খবর পেয়ে হাফেজ আমির হোসেনের স্ত্রী মমতাজ বেগম ঘটনাস্থলে গেলে তাকেও বেধড়ক মারধর করা হয়। গুরুতর অবস্থায় তাদের প্রথমে তালতলী জেনারেল হাসপাতালে ও পরে ঢাকার পিজি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাফেজ আমির খান মারা যান। 

২৫ অক্টোবর হাফেজ আমিরের ছেলে আবু বকর বাদী হয়ে ১২ জনকে আসামি করে তালতলী থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। তাৎক্ষণিক মামলার আসামি কুখ্যাত সেকান্দার আলী ঘরামীর ছেলে সাইফুল ইসলামকে (২২) পুলিশ গ্রেফতার করে জেলহাজতে প্রেরণ করেন।

পটুয়াখালী র‌্যাব-৮ এর ডিএডি, সিএ মো. নুর ইসলাম বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে আমির হোসেন হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত পলাতক প্রধান আসামি সেকান্দার ঘরামীকে মির্জাগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ আমড়াগাছিয়া এলাকা থেকে আটক করে রাতেই তালতলী থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। 

তালতলী থানার ওসি আবুল কালাম খান জানান, হাফেজ আমির হোসেন হত্যা মামলার প্রধান আসামি সেকান্দার আলী ঘরামীকে পটুয়াখালী র‌্যাব-৮ এর সদস্যরা আটক করে থানায় সোপর্দ করেছে। মঙ্গলবার তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম