আলোচিত ৪ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মমতাজের বিরুদ্ধে আরেক মামলা
যুগান্তর প্রতিবেদন, মানিকগঞ্জ ও সিংগাইর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:২৭ পিএম
সিংগাইর উপজেলার গোবিন্দল গ্রামে ২০১৩ সালের আলোচিত ৪ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সাবেক এমপি কন্ঠশিল্পী মমতাজ বেগমের বিরুদ্ধে আরও একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। এর আগে গত অক্টোবর মাসে দুটি মামলা দায়ের করেন নিহতের দুই স্বজন।
তৎকালীন মানিকগঞ্জ সদর সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার, ডিবি পুলিশের একাধিক পরিদর্শক ৩৭ পুলিশ সদস্যসহ ৮২ জনের নামে ও অজ্ঞাত আরও ২৫ জনসহ ১০৭ জনের বিরুদ্ধে সোমবার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি করা হয়।
মামলার বাদী নিহত আলমগীর হোসেনের স্ত্রী সিংগাইরে গোবিন্দল মোল্লাপাড়া গ্রামের মো. রফেজ উদ্দিনের মেয়ে রাফেজা (৩৭)।
বাদী মামলায় অভিযোগ করেছেন, পুলিশ আসামিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ দায়িত্ব পালন না করে উল্টো তারাই পুলিশের পোশাক পরিধান করে এলোপাতাড়ি গুলি বর্ষণ করে হত্যাকাণ্ডে অবৈধভাবে অংশ নেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, ২০১৩ সালে ২৪ ফেব্রুয়ারি ধর্মভিত্তিক দলসমূহের পূর্বঘোষিত সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালনকালে সিংগাইর গোবিন্দল নতুন বাজার চার রাস্তার মোড়ে হেমায়েতপুর টু মানিকগঞ্জগামী আঞ্চলিক মহাসড়কে হরতালের সমর্থনে শতশত মানুষের জমায়েত হয়। সেখানে আসামিদের ছোড়া গুলিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে আলমগীর হোসেনসহ চার জন নিহত হন।
রাফেজার মামলায় বাকি আসামিরা হলেন-মানিকগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও বলধরা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল মাজেদ খান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শহিদুর রহমান ভিপি শহিদ (৫০), সদ্য বিদায়ী উপজেলা চেয়ারম্যান সায়েদুল ইসলাম (৫০)। এছাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি রমজান আলী চেয়ারম্যান, শওকত হোসেন বাদল, সিংগাইর দলিল লেখক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আজিমপুরের মৃত. নুরুল হক ফকিরের ছেলে মনিরুল ইসলাম পলাশসহ (৪০)।
এছাড়া আসামি পুলিশ সদস্যরা হলেন-তৎকালীন দায়িত্বে থাকা মানিকগঞ্জ সদরের সার্কেল সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. কামরুল ইসলাম, মানিকগঞ্জ ডিবি পুলিশের ওসি মো. মহিবুল আলম, মদন মোহন বণিক, মোহাম্মদ রবিউল ইসলাম, সিংগাইর থানার এস আই আদিল মাহমুদ, মোজাম্মেল হোসেনসহ ৩৭ জন।
সূত্রমতে, ২০১৩ সালের আলোচিত চার হত্যাকাণ্ডে আলমগীরসহ নাসির, নাজিমুদ্দিন মোল্লা ও শাহ আলম নিহত হন।
নিহত আলমগীরের স্ত্রী রাফেজা বলেন, আমার স্বামীর দাফনের কাজে ব্যস্ত থাকায় আমার পক্ষে মামলার সাক্ষী মিঠু চেয়ারম্যান এজাহার দিতে গেলে কর্তৃপক্ষ মামলা গ্রহণ না করে বেশি বাড়াবাড়ি করলে মামলায় আসামি করে চালান দিয়ে দেবেন বলে হুমকি দেন। তিনি ভয়ে থানা থেকে দ্রুত চলে আসেন।
সিংগাইর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহিদুল ইসলাম মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, পৃথক তিনটি হত্যা মামলার আসামিদের গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।