রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মনিরুজ্জামান নসাকে রোববার রাতে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তিনি বরগুনা সদর উপজেলার কেওড়াবুনিয়া ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান।

বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দেওয়ান জগলুল হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জানা যায়, শেখ হাসিনা ৫ আগস্ট পালিয়ে যাবার পর ১০ আগস্ট বরগুনায় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর কবীরের নেতৃত্বে বরগুনা শহরে একটি বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করা হয়। এরপর ১২ আগস্ট রাতে মো. জাহাঙ্গীর কবীরের মোবাইলে ফোনে কথা বলেন শেখ হাসিনা। ওই সময় পাশ থেকে একজন ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়। এতে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে উৎখাতের ষড়যন্ত্র পরিলক্ষিত হয়।

পরে দেশের প্রচলিত আইন অনুসারে বিষয়টি রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল হওয়ায় বরগুনা থানার উপ-পরিদর্শক মো. শামীম বাদী হয়ে ৭ অক্টোবর বরগুনা থানায় মো. জাহাঙ্গীর কবীরকে আসামি করে একটি রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় মো. জাহাঙ্গীর কবীরকে ৯ অক্টোবর আদালতে গ্রেফতার দেখায়। এই মামলায় একজনের নাম এজাহারে থাকলে অজ্ঞাত নেতাকর্মীদের কথা বলা হয়েছে। ওই ভাইরাল ভিডিও দেখে পুলিশ গ্রেফতার করে মো. মনিরুজ্জামান নসাকে।

এ বিষয়ে বরগুনা সদর থানার ওসি দেওয়ান জগলুল হাসান বলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর কবীরের সঙ্গে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ফোনালাপ সামাজিক যোগাযোগে ছড়িয়ে পড়ার ঘটনায় দায়ের করা রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় মো. মনিরুজ্জামান নসাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ওই সময় তিনি উপস্থিত ছিলেন।

সোমবার তাকে আদালতের নির্দেশে বরগুনা জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।