ফরিদগঞ্জ মডেল মসজিদ
নিম্নমানের সামগ্রী: বছর না যেতেই চুইয়ে পড়ছে পানি

ফরিদগঞ্জ (চাঁদপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:০৩ পিএম

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মিত হওয়ার ১ বছর যেতে না যেতেই মসজিদের বেহাল। নিম্মমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করে মসজিদ নির্মাণ করায় বিভিন্ন স্থান দিয়ে পানি চুয়ে চুয়ে পড়ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ফরিদগঞ্জ উপজেলার ফরিদগঞ্জ আবিদুর রেজা সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন স্থানে ১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রায় ৪৩ শতক জমির ওপরে মডেল মসজিদ নির্মিত হয়। ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে এবং বাস্তবায়নে গণপূর্ত বিভাগের আওতায় মসজিদটি নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানটি নকশা অনুযায়ী কাজ সমাপ্ত করে প্রশাসনের নিকট হস্তান্তর করে। ২০২৩ সালের ১৬ মার্চ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মসজিদের উদ্বোধন করেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
কিন্তু নির্মাণের এক বছর যেতে না যেতেই মসজিদটির তৃতীয় ও দ্বিতীয় তলায় পিছনের দেয়াল চুয়ে চুয়ে পানি পড়ছে এবং মসজিদের বিভিন্ন স্থানে দেয়ালের নির্মাণ ত্রুটি ভেসে উঠেছে। একাধিক বাথরুমের ফিটিংস ফেটে পানি বের হয়। আবার কয়েকটা বাথরুমের পানি প্রবাহিত হয় না। অল্প বৃষ্টি হলে দোতলায় পানি উঠে, নামাজ পড়া যায় না। মসজিদের মিনার ও গম্বুজের লাইট লাগানো হয়নি। বিভিন্ন অংশে কিছু লাইট লাগানো হলে ও ছয় মাসের পর থেকে আর জ্বলে না। এমনকি ছয় মাসের সার্ভিস বা মেরামতের কথা থাকলেও তা করা হয়নি।
অন্যদিকে মসজিদটিতে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করায় পুরো মসজিদটিতে বিদ্যুৎ ওয়ারিংয়ের প্রচুর সমস্যা দেখা দিয়েছে। যে কারণে বিদ্যুতের সুইচ দিলেই স্পার্কিং শুরু হয়ে যায়। এছাড়াও নিম্মমানের লাইটিংয়ের কারণে বেশিরভাগ বাতি নিয়মিতভাবে জ্বলে না। আবার ছাদে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় ছাদের ওপরে পানি জমে থাকে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের গাফিলতির কারণে এ অবস্থা হয়েছে বলে দাবি এলাকাবাসীর।
এব্যাপারে দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স আজিজ এন্ড ব্রাদার্স এর মালিক আজিজুর রহমান জানান, সমস্যা গুলো আমরা জানতে পেরেছি। দ্রুত মেরামত করে দেওয়া হবে।
গণপূর্ত অধিদপ্তরের চাঁদপুর জেলার উপসহকারী প্রকৌশলী মো. ফিরোজ আহমেদকে গত ৩ দিন ধরে সমস্যা গুলো ইমেল করলেও কোন উত্তর পাওয়া যায়নি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুলতানা রাজিয়া বলেন, দ্রুত মসজিদটি ভিজিট করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।