বৈদ্যুতিক খুঁটিতে কাজ করার সময় শ্রমিক অগ্নিদগ্ধ
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:০২ পিএম
লক্ষ্মীপুরে একটি বৈদ্যুতিক খুঁটিতে কাজ করার সময় মো. জসিম (৪৫) নামে এক শ্রমিক বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন। এতে তার শরীরের ৪০ শতাংশ দগ্ধ হয়। সহকর্মীরা আহত অবস্থায় জসিমকে উদ্ধার করে প্রথমে সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠিয়েছে কর্তব্যরত চিকিৎসক।
শনিবার (২ নভেম্বর) দুপুরে শহরের ঝুমুর এলাকায় লক্ষ্মীপুর বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) কার্যালয়ের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আহত জসিম লক্ষ্মীপুর পৌর এলাকার দক্ষিণ মজুপুর গ্রামের মো. শাহাবুদ্দিনের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, শনিবার সকাল থেকে লক্ষ্মীপুর পিডিবি কার্যালয়ের সামনে একটি বৈদ্যুতিক খুঁটিতে কাজ করছিল কর্মীরা। দুপুরের দিকে ওই খুঁটিতে কাজ করা অবস্থায় জসিম নামে একজন কর্মীর দেহে আগুন লেগে যায়। এতে তার শরীরের বেশিরভাগ অংশ পুড়ে গেছে। স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে পাঠায়।
অভিযোগ উঠেছে, খুঁটিতে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ না করে কাজ করার কারণে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। এতে বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ এবং ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের অবহেলা ছিল। বিদ্যুৎ অফিসের সামনেই এমন দুর্ঘটনাকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের গাফিলতি। তবে এ দুর্ঘটনায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে দায়ি করছে বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ ।
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের পক্ষে মো. সবুজ বলেন, যে খুঁটিতে কাজ করা হচ্ছিল, সেটাতে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়। কিন্তু পাশের খুঁটিতে লাইন চালু ছিল। কাজ করার সময় বৈদ্যুতিক ক্যাবল পাশের চালু লাইনের সংস্পর্শে এসে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক মো. আরমান হোসেন বলেন, অগ্নিদগ্ধ জসিমের দুই হাত, বুক ও পেটসহ শরীরের ৪০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। তার অবস্থা গুরুতর। তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়েছে।
লক্ষ্মীপুর বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী নুরুল আমিন বলেন, খুঁটিতে কাজ করতে গিয়ে ঠিকাদারের একজন কর্মী আহত হয়েছে। কর্মীরা কাজ করার সময় ঠিকাদারের চাহিদা অনুযায়ী লাইন বন্ধ রাখা হয়। সকালে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য বৈদ্যুতিক লাইন বন্ধ রাখা হয়েছে। তখন ঠিকাদার তাজুল ইসলামের কর্মীরা লাইন মেরামতের কাজ করে। কিন্তু যখন দুর্ঘটনা ঘটেছে তখন লাইন চালু ছিল। ওই সময় বিদ্যুৎকর্মী কাজ করার কথা ছিল না। ওই কর্মী চালু লাইনে কেন উঠেছে, সেটা বোধগম্য নয়৷ তার সঙ্গে কথা বলতে পারলে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যেত।