মামলার প্রতিবাদে চট্টগ্রামে সনাতনীদের বিক্ষোভ, বাধা দেওয়ার অভিযোগ
চট্টগ্রাম ব্যুরো
প্রকাশ: ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৫৭ পিএম
চট্টগ্রামে সনাতন জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বিকালে নগরীর চেরাগী পাহাড় মোড়ে এই কর্মসূচি পালন করেন সনাতনীরা।
এদিন সমাবেশে যেতে সনাতনীদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বাধার মুখে পড়তে হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বিকাল ৩টা পর্যন্ত চেরাগী পাহাড় এলাকায় সমবেত লোকজনকে রাস্তার এক পাশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আটকে রাখে।
পরে লোক সমাগম বাড়লে বাধা উপেক্ষা করে চেরাগী পাহাড় মোড়ের চত্বরে অবস্থান নেন তারা। এরপর স্লোগানে স্লোগানে উত্তাল হয়ে উঠে।
সমাবেশে স্বতন্ত্র গৌরাঙ্গ দাস ব্রহ্মচারী বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করতে সমবেত হয়েছি; কিন্তু নগরীর জামালখান, আসকারদীঘির পাড়, নন্দনকানন ও আন্দরকিল্লা এলাকায় লোকজনকে সমাবেশে আসতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। যদি মিছিল আসতে দেওয়া না হয় তাহলে আমরা মিছিল নিয়ে গিয়ে বিভিন্ন স্থানে আটকে দেওয়া লোকজনকে নিয়ে আসব।
এ বিষয়ে নগর পুলিশের উপকমিশনার (দক্ষিণ) লিয়াকত আলী খান বলেন, চেরাগীতে সমাবেশ না করার প্রশাসনিক নির্দেশনা ছিল। এ কারণে পুলিশ বাধা দেয়। পরে তারা বাধা উপেক্ষা করে সমাবেশে অংশ নেয়।
এদিকে ইসকনের সংগঠক চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী এবং চট্টগ্রামের হিন্দু জাগরণ মঞ্চের সমন্বয়ক অজয় দত্তসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা ফিরোজ খানকে পদ থেকে অব্যাহতি দিয়েছে বিএনপি। তিনি দলটির ৫ নম্বর মোহরা ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন।
ফিরোজ খানকে পাঠানো চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, আপনার বিরুদ্ধে দলের নীতি ও আদর্শ পরিপন্থি কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে আপনাকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল ৫নং মোহরা ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হলো। চিঠিটির অনুলিপি চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক এরশাদ উল্লাহ ও সদস্য সচিব মো. নাজিমুর রহমানকেও পাঠানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, চট্টগ্রাম নগরীর নিউমার্কেট মোড়ে অবস্থিত স্বাধীনতা স্তম্ভে জাতীয় পতাকার অবমাননার অভিযোগে বুধবার সনাতন জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ করেন বিএনপি নেতা ফিরোজ খান। মামলার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার বিকালে নগরীর চেরাগী পাহাড় মোড়ে প্রতিবাদ সমাবেশ করে সনাতন জাগরণ মঞ্চ। এতে শুক্রবার ৬৪ জেলায় বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দেওয়া হয়।