বাদীর বিরুদ্ধে মামলা করলেন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট
বড়লেখা (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ১০:৪৭ পিএম
বড়লেখায় ইচ্ছাকৃতভাবে মিথ্যা তথ্য দিয়ে সাবেক স্ত্রী ও তার পিতৃ-পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে আদালতে মিথ্যা মামলা দায়ের করে নিজেই ফেঁসে গেলেন তেজপাতা ব্যবসায়ী লাল মিয়া।
পুলিশি তদন্তে হয়রানির উদ্দেশ্যে মিথ্যা দাবি তুলে আদালতে মামলা করার প্রমাণ পাওয়ায় বড়লেখা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মোহাম্মদ জিয়াউল হক নিজেই বাদী হয়ে তারই আদালতের মামলার বাদী লাল মিয়ার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। বৃহস্পতিবার আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন।
আসামি লাল মিয়া উপজেলার মুহাম্মদনগর গ্রামের মৃত মজবিল আলীর ছেলে।
জানা গেছে, গত ৪ এপ্রিল তেজপাতা ব্যবসায়ী লাল মিয়ার পথরোধ করে সাবেক স্ত্রী মনোয়ারা বেগম ও তার পরিবারের লোকজন তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে মারপিট ও হত্যার হুমকি প্রদানের অভিযোগ এনে বড়লেখা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন। আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য থানার ওসিকে নির্দেশ দেন। এসআই আতাউর মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব পান।
তদন্ত কর্মকর্তা ঘটনা তদন্তে জানতে পারেন মামলার বাদী লাল মিয়া বিবাদী মনোয়ারা বেগমের বাড়ির পাশে নির্জন টিলার উপরে দা হাতে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করতে দেখে বিবাদী মনোয়ারা বেগমের আত্মীয় স্বজন ও এলাকার লোকজন তাকে আটক করেন। পরে লাল মিয়ার পরিবারের লোকজনসহ স্থানীয় ইউপি সদস্যকে আটকের বিষয়টি অবহিত করেন। বোবারথল ইসলামনগর গ্রামটি দুর্গম টিলা অঞ্চল হওয়ায় তাৎক্ষনিক বিষয়টি সমাধান করা সম্ভব না হওয়ায় পরের দিন ৫ এপ্রিল শুক্রবার সকাল ১০ ঘটিকার সময় লাল মিয়ার বসতবাড়ি এলাকার স্থানীয় ইউপি সদস্য অত্র মামলার আরজিতে উল্লেখিত সাক্ষী আব্দুল মান্নান মিয়া তথায় উপস্থিত হয়ে স্থানীয় মান্যগণ্য লোকজনের সালিশে অত্র মামলার বাদী লাল মিয়া তার সাবেক স্ত্রী মনোয়ারা বেগমের বাড়িতে বিনা অনুমতিতে কোন দিন যাবে না বলে মৌখিক অঙ্গীকার করেন। বিষয়টি আপোষে নিষ্পত্তি করে লাল মিয়াকে সুস্থ অবস্থায় আব্দুল মান্নান মেম্বার নিজ জিম্মায় নিয়ে যান।
কিন্তু পরবর্তীতে সাবেক স্ত্রী ও তার পরিবারের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের শায়েস্তা করার হীনউদ্দেশ্যে লাল মিয়া সাবেক স্ত্রী মনোয়ারা বেগম ও তার পরিবারের লোকজনকে কাল্পনিক ঘটনা সাজিয়ে আদালতে মিথ্যা মামলা দায়ের করেন।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী নেপুর চন্দ্র দাস মিথ্যা মামলা দায়ের ও আদালতের মূল্যবান কর্মঘণ্টা নষ্ট করার অপরাধে মামলার বাদীর বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আদালত আসামি লাল মিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন।