ছেলে-ভাইসহ সাবেক ডেপুটি স্পিকার টুকুর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা
পাবনা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ১০:৪০ পিএম
পাবনায় সাবেক ডেপুটি স্পিকার ও পাবনা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু, তার ছেলে বেড়া পৌরসভার সাবেক মেয়র অ্যাডভোকেট আসিফ শামস রঞ্জন এবং টুকুর ভাই বেড়ার সাবেক মেয়র আব্দুল বাতেনসহ ১১ জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে।
দখল, চাঁদাবাজি, অর্থ আত্মসাৎ ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগে বুধবার বিকালে দ্রুত বিচার আইনে পাবনা আমলি আদালত-১-এ মামলাটি দায়ের করেন বেড়া পৌর এলাকার বৃশালিখা মহল্লার বাসিন্দা মির্জা মেহেদি হাসান।
বাদী মেহেদি হাসান পেশায় ব্যবসায়ী এবং বেড়া পৌরসভার এক নাম্বার ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক।
পাবনা আমলি আদালত-১ এর বিচারক মোরশেদুল আলম মামলাটি আমলে নিয়ে বেড়া মডেল থানাকে এফআইআর হিসেবে নথিভুক্ত করে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
বাদী এজাহারে উল্লেখ করেন, অভিযুক্তরা ২০১৪ সালের ৬ মে বেলা সাড়ে ১১টার দিতে অস্ত্র নিয়ে বৃশালিখা মহল্লার বাসিন্দা মির্জা মেহেদি হাসানের কাছে গিয়ে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় অভিযুক্তরা মেহেদি হাসানের পৈতৃক জমিতে থাকা ২০টি দোকান ও ৫০টি গোডাউন জবরদখল করে নেন। সেইসঙ্গে ওইসব দোকান গোডাউনের ভাড়া না তুলতে বাদীকে হত্যার হুমকি দেন তারা। ২০১৪ সাল থেকে বিগত ১০ বছর ধরে অভিযুক্তরা হুমকি-ধমকি দিয়ে ভাড়ার টাকা তুলে আত্মসাৎ করেছেন।
এ বিষয়ে একাধিকবার থানা পুলিশের কাছে অভিযোগ দিতে গেলে তারা কোনো অভিযোগ বা জিডি নেয়নি। এতে ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী মেহেদি হাসানের গত ১০ বছরে ৫০ কোটি টাকার ক্ষতিসাধন হয়েছে।
মামলার বাদী মির্জা মেহেদি হাসান বলেন, ২০১৪ সাল থেকে মামলা করতে বা জিডি করতে অনেকবার বেড়া মডেল থানায় গেলেও পুলিশ তাদের ক্ষমতার প্রভাবে কখনো আমাদের কোনো অভিযোগ বা মামলা নেয়নি। দেশের পটপরিবর্তনের পর টুকু, তার ভাই বাতেন ও ছেলে রঞ্জন পলাতক থাকলেও তাদের অন্য সহযোগীরা এখনো দখল বাণিজ্য করে চলেছেন। থানার ওসি, ইউএনও, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার সবার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি; কিন্তু কোনো কাজ হয়নি। বাধ্য হয়ে আমার জমি ও সম্পদ দখলের বিরুদ্ধে মামলা করেছি। আশা করছি ন্যায়বিচার পাব।
বাদীর আইনজীবী নাজমুল হোসেন শাহীন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ক্ষমতার প্রভাবে বাদী দীর্ঘদিন ন্যায়বিচার চাওয়ার অধিকার পাননি। দেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরে আসায় এ বিচার চাওয়ার পথ সুগম হয়েছে। আশা করি তিনি ন্যায়বিচার পাবেন এবং আসামিদের শাস্তি হবে।