আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলায় হাজিরা দিয়ে ফেরার পথে টাঙ্গাইল আদালত এলাকা থেকে সহিদুর রহমান খান মুক্তিকে আটক করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকালে তাকে আটক করা হয়।

হাজিরা শেষে তাকে দুপুর ১২টার দিকে হুইলচেয়ারে করে আদালত কক্ষ থেকে বের করা হয়। এ সময় তারা আদালত চত্বরে অতিরিক্ত পুলিশের উপস্থিতি দেখতে পান। পুলিশ এর আগেই সহিদুরকে বহন করে আনা অ্যাম্বুলেন্সটি আদালতের সামনে থেকে সরিয়ে দেয়। পরে সহিদুর আবার আদালত কক্ষে ফিরে যান।

বিকাল সোয়া ৩টার দিকে তিনি আবার হুইলচেয়ারে করে আদালত কক্ষ থেকে বের হন। আদালত চত্বর থেকে বাইরে আসার পর টাঙ্গাইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তানভীর আহম্মদের নেতৃত্বে একদল পুলিশ তাকে ঘিরে ধরে।

এ সময় ওসি তানভীর সহিদুরকে পুলিশের আনা মাইক্রোবাসে উঠতে বলেন। তখন সহিদুর টাঙ্গাইল সদর থানার ওসি তানভীর আহম্মদকে জিজ্ঞেস করেন, আপনি কী আমাকে গ্রেফতার করছেন? জবাবে ওসি তানভীর আহাম্মেদ তাকে আটকের কথা বলেন। তাকে কোন মামলায় গ্রেফতার করা হচ্ছে জিজ্ঞাসা করেন মুক্তি।

ওসি তানভীর বলেন, আমাদের সঙ্গে চলেন, সব জানানো হবে। বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে আটক করে তাকে টাঙ্গাইল সদর থানায় নেওয়া হয়।

সহিদুর রহমান খান মুক্তি টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আতাউর রহমান খানের ছেলে এবং ওই আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান ওরফে রানার ভাই।

আদালত সূত্র জানায়, ফারুক আহমেদ হত্যা মামলায় সহিদুর রহমান গত ২২ সেপ্টেম্বর টাঙ্গাইল প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত থেকে স্থায়ী জামিন লাভ করেন। পরে তিনি ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। বৃহস্পতিবার মামলার ধার্য তারিখে তিনি অ্যাম্বুলেন্সযোগে আদালতে আসেন।

আটকের সময় জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি-দক্ষিণ) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মীর মোশারফ হোসেন, গোয়েন্দা শাখার (ডিবি-উত্তর) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এবিএমএস দোহাসহ অন্যান্য গোয়েন্দা শাখার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভীর আহাম্মেদ জানান, সহিদুরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।

টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলাম সানতু জানান, সাবেক মেয়র সহিদুর রহমানের নামে বিভিন্ন ধরনে মামলা রয়েছে। সে কারণেই তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে আপনাদের সকল কিছু জানানো হবে।