৩২ ঘণ্টায় হত্যা রহস্য উদ্ঘাটন কেন্দুয়া পুলিশের
নেত্রকোনা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ১০:২৮ পিএম
নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলায় ৩২ ঘণ্টার মধ্যে ইজিবাইকচালক গোলাম রাব্বানী হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন করেছে পুলিশ। পুলিশ জানায়, ইজিবাইকটি ছিনতাই করতেই রব্বানীকে হত্যা করা হয়।
বৃহস্পতিবার সকালে কেন্দুয়া থানার ওসি মিজানুর রহমান এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে গ্রেফতার হওয়া বকুল মিয়া (৪২) বুধবার সন্ধ্যায় আদালতে নিজের দোষ স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।
নিহত গোলাম রব্বানী (৫২) ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার গাবর কালিয়ান গ্রামের বাসিন্দা। আর গ্রেফতার বকুল মিয়া নান্দাইল উপজেলার ঝাউগড়া গ্রামের বাসিন্দা।
স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার সন্ধ্যায় গোলাম রব্বানী ইজিবাইকে ঈশ্বরগঞ্জের আঠারোবাড়ি থেকে কয়েকজন যাত্রী নিয়ে কেন্দুয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হন। রাত ১০টার দিকে এক মোটরসাইকেল আরোহী কেন্দুয়া-আঠারোবাড়ি সড়কের বড় কানিয়ান প্যানারমোড় এলাকায় সড়কের পাশে যাত্রী শূন্য একটি ইজিবাইক দেখতে পান। এ সময় সেখান থেকে কিছুটা দূরে পাশে একটি ঝোঁপ থেকে গোঙানির আওয়াজ শুনতে পেয়ে স্থানীয় লোকজনকে বিষয়টি জানান।
ওই ব্যক্তি লোকজন নিয়ে সেখানে গিয়ে দেখেন, রাস্তার পাশে থাকা ইজিবাইকটি কে যেন নিয়ে যাচ্ছেন। এ সময় ঝোপের কাছে গিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় একজনের মৃতদেহ দেখতে পাওয়া যায়। মৃতদেহের গলা, পেট, হাত-পাসহ বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়। পরে লাশটি ইইজিবাইক চালক রব্বানীর বলে তার ভাগ্নে হুমায়ুন কবীর শনাক্ত করেন।
খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। ঘটনার পরদিন হুমায়ুন কবীর বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামি করে কেন্দুয়া থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
পরে পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে ঘটনায় জড়িত অভিযোগে বকুল মিয়াকে বুধবার ভোরে নান্দাইল মডেল থানাধীন আচারগাঁও এলাকা থেকে গ্রেফতার করে।
নেত্রকোনার কেন্দুয়া থানার ওসি মিজানুর রহমান বলেন, নেত্রকোনা পুলিশ সুপার মির্জা সায়েম মাহমুদের দিক নির্দেশনায় আমরা ঘটনার ৩২ ঘণ্টার মধ্যে ক্লুলেস এ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটনসহ ঘটনায় জড়িত বকুল মিয়া নামের এক আসামিকে গ্রেফতার করতে পেরেছি।
তিনি বলেন, বকুল মিয়া বুধবার সন্ধ্যায় জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নিজের দোষ স্বীকার করে বিচারকের কাছে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।
আদালতে বকুল মিয়া জানয়েছেন, ইজিবাইটি ছিনতাই করতেই চালকে হত্যা করা হয়। এ কাজে তার সঙ্গে আরও দুই যুবক জড়িত রয়েছেন। তাদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে।