মসজিদ দখলে ব্যস্ত কোম্পানীগঞ্জের বিএনপি নেতা
কোম্পানীগঞ্জ (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ১০:০৬ পিএম
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে বসুরহাট কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ নিজেদের দখলে রাখার জন্য হঠাৎ করেই বহিরাগতদের নিয়ে মসজিদ কমিটি গঠন করে দেন উপজেলা বিএনপির আহবায়ক নুরুল আলম সিকদার।
মুসল্লিদের অভিযোগ তাদের মতামত না নিয়েই নিজেকে সভাপতি ঘোষণা করে নতুন কমিটি গঠন করেন বিএনপি নেতা নুরুল আলম। এর আগে মসজিদের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন বসুরহাট পৌরসভার সাবেক মেয়র আবদুল কাদের মির্জা। গত ৫ আগস্টের পর তিনি পলাতক।
বৃহস্পতিবার দুপুরে নতুন এ কমিটি বাতিলের দাবিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর ফরহাদ শামিমকে স্মারকলিপি প্রদান করেন মুসল্লিরা। এতে শুক্রবার জুমার সময় মুসল্লিদের মতামতের ভিত্তিতে নতুন কমিটি গঠনের দাবিও জানান।
এর আগে গত বিকালে উপজেলা বিএনপির আহবায়ক নুরুল আলম সিকদারকে সভাপতি ও কাদের মির্জার ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ব্যবসায়ী মো. জসিম উদ্দিনকে সাধারণ সম্পাদক করে ৩৩ সদস্যের কমিটি ঘোষণা করেন বিএনপি নেতারা।
এ সময় উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মাহমুদুর রহমান রিপন উপস্থিত ছিলেন।
বসুরহাটের ব্যবসায়ী ও জেলা বিএনপির সদস্য মো. রফিক উল্যাহ বলেন, আমাকে নতুন কমিটিতে সহ-সভাপতি রাখা হয়েছে। আমি তা প্রত্যাখ্যান করেছি। কারণ ওই কমিটি মুসল্লিদের মতামতের ভিত্তিতে হয়নি। স্বৈরাচারের চরদখলের মতো মসজিদ কমিটি দখল আমরা মানি না। অবৈধ এ কমিটি বাতিলের দাবিতে আলটিমেটামসহ স্মারকলিপি দিয়েছি। বাতিল না হলে মসজিদের স্বার্থে আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে।
মসজিদের মুসল্লি মুফতি মো. হাফিজ উল্যাহ বলেন, এক সময় এ মসজিদ বসুরহাট পৌরসভার সাবেক মেয়র আবদুল কাদের মির্জা দখল করে নিজেকে সভাপতি ঘোষণা করেছিলেন। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক নুরুল আলম সিকদারও একই কায়দায় মসজিদ দখলের চেষ্টা করছেন। তিনি কখনো এই মসজিদে ঈদ, জুমাসহ পাঞ্জেগানা কোনো নামাজই পড়তে আসেন না। আমরা এর প্রতিবাদ জানাই।
ব্যবসায়ী মো. শহিদ উল্যাহ বলেন, নুরুল আলম সিকদারের বাড়ি মসজিদ থেকে ১২ কিলোমিটার দুরে। আমাদের দাবি সকল মুসল্লিদের মতামত নিয়ে দলমত নির্বিশেষে বসুরহাট কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের কমিটি গঠন করতে হবে।
উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মাহমুদুর রহমান রিপন নতুন কমিটি গঠনের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, উপস্থিত মুসল্লিদের মতামত নিয়ে উপজেলা বিএনপির আহবায়ক নুরুল আলম সিকদারকে সভাপতি করা হয়েছে।
উপজেলা বিএনপির আহবায়ক নুরুল আলম সিকদার বলেন, আমি একটি মিটিংয়ে আছি। পরে কথা বলব। পরে কল দিলেও তিনি আর ফোন রিসিভ করেননি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তানভীর ফরহাদ শামিম বলেন, স্মারকলিপি পেয়েছি। এ বিষয়ে সব মুসল্লিদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।