বগুড়ার শাজাহানপুরে দাম্পত্য কলহে ফুলবানু নামে এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধে হত্যা মামলায় স্বামী চাঁন মিয়াকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
হত্যাকাণ্ডের দীর্ঘ ১৯ বছর পর বগুড়ার দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. জালাল উদ্দিন বৃহস্পতিবার দুপুরে জনাকীর্ণ আদালতে এ রায় দেন।
কোর্ট ইন্সপেক্টর মোসাদ্দেক হোসেন জানান, রায় ঘোষণার পর সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে বগুড়া জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
আদালত ও এজাহার সূত্র জানায়, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত চাঁন মিয়া (৪১) বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার মানিকদিপা পদ্মপাড়া গ্রামের চুন্নু মিয়ার ছেলে।
চাঁন মিয়া দাম্পত্য কলহে গত ২০০৫ সালের ৫ সেপ্টেম্বর রাত ৪টার দিকে গলায় ফাঁস লাগিয়ে স্ত্রী ফুলবানুকে হত্যা করেন। এরপর হত্যাকে আত্মহত্যা হিসেবে চালিয়ে দিতে শাড়ি দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে মরদেহ ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখেন। পরদিন সকালে ফুলবানুর বাবা আবদুর রাজ্জাক মেয়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে আসেন। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়।
এ ব্যাপারে আবদুর রাজ্জাক মেয়েকে হত্যার অভিযোগে শাজাহানপুর থানায় জামাই চাঁন মিয়ার বিরুদ্ধে মামলা করেন। পরে পুলিশ চাঁন মিয়াকে গ্রেফতার করলে তিনি আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তদন্তকারী কর্মকর্তা শাজাহানপুর থানার তৎকালীন এসআই আবদুর রাজ্জাক আদালতে একমাত্র আসামি চাঁন মিয়ার বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন।
দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে হত্যাকাণ্ডের ১৯ বছর পর আদালত চাঁন মিয়াকে মৃত্যুদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। উচ্চ আদালতের অনুমোদনসাপেক্ষে মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত গলায় রশি দিয়ে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের নির্দেশ দেওয়া হয়।