Logo
Logo
×

সারাদেশ

নারীদের জয়ে ধোবাউড়ায় আনন্দের বন্যা, সানজিদার চোখে হ্যাটট্রিক জয়ের স্বপ্ন

Icon

আবুল হাশেম, ধোবাউড়া (ময়মনসিংহ)

প্রকাশ: ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:১৯ পিএম

নারীদের জয়ে ধোবাউড়ায় আনন্দের বন্যা, সানজিদার চোখে হ্যাটট্রিক জয়ের স্বপ্ন

ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলার সানজিদা মারিয়াদের গল্প দেশের গন্ডি পেরিয়ে এখন বিদেশেও। টানা দ্বিতীয়বার সাফ চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের পতাকা উজ্জ্বল করেছে বাংলার বাঘিনী কন্যারা। সেই চ্যাম্পিয়ন দলের ৬ জন খেলোয়ারের বাড়ি ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে। 

কলসিন্দুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে মেয়েদের রুপকথার গল্প শুরু হয়। দেশের গন্ডি পেরিয়ে বিদেশের মাটিতেও এখন এই মেয়েদের জয়জয়কার। অজোঁপাড়া গাঁয়ের কুসংস্কারাচ্ছন্ন এলাকার মেয়েরা ফুটবল খেলবে এটা ছিল দুঃস্বপ্নের মত। 

কিন্তু প্রতিকুলতার সেই শিকল ভেঙে এই মেয়েরা একের পর এক গল্প লিখছেন সাফল্যের। সানজিদা, মারিয়া মান্দা, তহুরা, শামসুন্নাহার জুনিয়র, শামসুন্নাহার সিনিয়র, শিউলী আজিম এই ৬ জন খেলোয়ারই ধোবাউড়া উপজেলার বাসিন্দা । 

বৃহস্পতিবার সকালে কথা হয় সানজিদা, মারিয়া মান্দা ও তহুরার সঙ্গে। তারা জানান, দেশের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিচ্ছেন। কলসিন্দুর গ্রামের সানজিদার চোখে এখন হেট্রিক জয়ের স্বপ্ন। 

তিনি আরও বলেন, দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছি আলহামদুলিল্লাহ খুবই ভালো লাগছে। এবার হ্যাট্রিক চ্যাম্পিয়ন হতে চাই। নিজ এলাকার মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে সানজিদা বলেন, শুরু থেকে আমাদের পাশে ছিলেন ভবিষ্যতেও সবার সাপোর্ট চাই, দেশবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান তিনি। 

উপজেলার মুক্তাগাছা গ্রামের বাসিন্দা মেসিখ্যাত শারাবান তহুরার হেট্রিকে ফাইনালে উঠে নারী ফুটবল দল। 

তিনি জানান, সিনিয়র টিমে প্রথম হ্যাট্রিক করেছি, খুবই ভালো লাগছে। আমাদের লক্ষ্য ছিল চ্যাম্পিয়ন হওয়া। সবাই প্রতিজ্ঞাবদ্ধও ছিলাম। 

মারিয়া মান্দার বাড়ি নেতাই নদীর পাড়ে মন্দিরঘোনা গ্রামে। সম্প্রতি ভয়াবহ বন্যায় বাড়ির সামনে রাস্তাঘাট ভেঙ্গে গেছে। এতে পরিবারের লোকজনের চলাচলে অসুবিধা হচ্ছে। তিনি রাস্তাঘাট মেরামতের দাবি জানান। 

এদিকে মেয়েদের জয়ে আনন্দের বন্যা বইছে সমগ্র ধোবাউড়ায়। খুশি মেয়েদের অভিভাবক, শিক্ষক ও এলাকাবাসী। 

সানজিদার বাবা লেয়াকত আলী বলেন, ‘আমার মেয়ে ফুটবল খেলে দেশের মুখ উজ্জ্বল করেছে,আমি অনেক খুশি।’ 

তহুরার বাবা ফিরোজ মিয়া বলেন, শুরুতে ফুটবল খেলতে অনেকে নিষেধ করতাম, এখন দেশের মুখ উজ্জ্বল করছে। বাবা হিসেবে আমার কাছে খুবই আনন্দের। 

কলসিন্দুর সরকারি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শরীরচর্চা শিক্ষক জবেদ তালুকদার বলেন, এই মেয়েরা আমাদের প্রতিষ্ঠানের এটা খুবই গর্বের। ভবিষ্যতে এরা বিশ্ব জয় করবে। 

কোচ জুয়েল মিয়া বলেন, আমাদের মেয়েরা জাতীয় দলে খেলে দেশের মুখ উজ্জ্বল করছে, এটা অনেক আনন্দের। 

মেয়েদের জয়ে অভিনন্দন জানিয়েছেন ময়মসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য ধোবাউড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান মানিক।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম