Logo
Logo
×

সারাদেশ

সেমিস্টারের পরিবর্তে বর্ষপদ্ধতির দাবি

রাবিতে উপাচার্যের আশ্বাসে অনশন ভাঙলেন শিক্ষার্থীরা

Icon

রাবি প্রতিনিধি

প্রকাশ: ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:২৮ পিএম

রাবিতে উপাচার্যের আশ্বাসে অনশন ভাঙলেন শিক্ষার্থীরা

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদে সেমিস্টার পদ্ধতি বাতিল করে পুনরায় বর্ষপদ্ধতি চালুর দাবিতে বুধবার আমরণ অনশন কর্মসূচি শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। পরে দুপুর দেড়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যসহ প্রশাসনের আশ্বাসে কর্মসূচি স্থগিত করেন শিক্ষার্থীরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ নজরুল ইসলাম প্রশাসন ভবনের সামনে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। 

এ কর্মসূচিতে ‘আইন বিভাগ’ এবং ‘আইন ও ভূমি প্রশাসন’ বিভাগের ২০২২-২৩ ও ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।

এ সময় দুই বিভাগ থেকে মোট ৪০ জন শিক্ষার্থী অনশনে বসেন। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অনশন চালিয়ে যাবেন বলে হুঁশিয়ারি দেন তারা। 

এর আগে শিক্ষার্থীরা একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিলটি ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ভবনের সামনে গিয়ে জড়ো হয়। সেখানে তারা ‘দফা এক দাবি এক, ইয়ারে কামব্যাক’, ‘জেগেছে রে জেগেছে, আইন অনুষদ জেগেছে’, ‘সেমিস্টারের বিরুদ্ধে ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘আমাদের দাবি মানতে হবে, মানতে হবে মানতে হবে’ প্রভৃতি স্লোগান দেন।

আইন ও ভূমি প্রশাসন বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মাহবুব হাসান বলেন, আইন অনুষদের ওপর আগের প্রশাসন জোর করে সেমিস্টার পদ্ধতি চাপিয়ে দিয়েছে। আমাদের বৃহৎ পাঠ্যসূচি, সেটা অধ্যয়নের জন্য সেমিস্টারের তিন-চার মাস যথেষ্ট সময় নয়। এছাড়া আমাদের সেমিস্টার পদ্ধতিতে যাওয়ার জন্য যথেষ্ট শিক্ষক ও অবকাঠামো প্রয়োজন। যেটা আমাদের বিভাগের নেই। এজন্য আমরা সেমিস্টার থেকে বর্ষপদ্ধতিতে ফিরে যেতে  চাচ্ছি।

সেমিস্টার পদ্ধতির সমস্যা তুলে ধরে আইন ও ভূমি প্রশাসন বিভাগের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সাদিয়া আফরিন লিপু বলেন, আমাদের বিগত ব্যাচগুলো বর্ষ পদ্ধতিতে পড়াশোনা করে আসছেন। বর্তমান সেমিস্টার পদ্ধতিতে বছরে দুটি সেমিস্টার শেষ করতে হয়। তবে যে পরিমাণ পাঠ্যসূচি দেওয়া হয়, তা মাত্র ছয় মাসে শেষ করা সম্ভব নয়। 

আইন বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ইয়াসিন আরাফাত বলেন, সেমিস্টার থেকে বর্ষপদ্ধতিতে ফেরার দাবিতে প্রথম থেকেই আমরা বৈধ উপায়ে এগিয়েছি। আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে প্রশাসনকে স্মারকলিপি দিয়েছি। বিষয়টি একাডেমিক কাউন্সিলের আলোচ্য সূচিতে থাকবে বলে তারা আমাদের আশ্বস্ত করেছিলেন; কিন্তু সেটি সেখানে উত্থাপিত হয়নি। আমাদের যৌক্তিক দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।

এদিকে দুপুর ১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ্ হাসান নকীব, সহ-উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান ও মোহাম্মদ মাঈন উদ্দিন ঘটনাস্থলে এসে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন।

এ সময় উপাচার্য শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, বিষয়টি একাডেমিক কাউন্সিলে যাবে। সেখানে তোমাদের সমস্ত সমস্যা তুলে ধরা হবে। আমি আশাবাদী, তোমাদের শিক্ষাজীবন ও ভবিষ্যত যেন ভালো হয় এমন সিদ্ধান্তই আসবে। আমরা এর বেশি কিছু বলতে চাই না। আমাদের ওপর ভরসা রাখতে পারো, আমরা দ্রুত এটি একাডেমিক কাউন্সিলে নিয়ে যাব।

কত দিনের মধ্যে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দিতে পারবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, এ ব্যাপারে উপাচার্যের কাছে জানতে চান শিক্ষার্থীরা। 

উত্তরে উপাচার্য বলেন, মোটে তিন মাস সময়ও লাগবে না। আমি এক মাসের ভিতরে সিদ্ধান্ত জানাতে পারব। আমরা কাল থেকেই এ বিষয়ে কাজ শুরু করব।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম