Logo
Logo
×

সারাদেশ

ইলিশে নিষেধাজ্ঞা, পদ্মার তীরে ঘাস বেচে চলে তাদের জীবিকা

Icon

দোহার-নবাবগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:১৬ পিএম

ইলিশে নিষেধাজ্ঞা, পদ্মার তীরে ঘাস বেচে চলে তাদের জীবিকা

ঢাকার দোহারের নয়াবাড়ি ও কসুমহাটি ইউনিয়নের পদ্মার তীরে সকাল হলেই ফরিদপুরের পদ্মার তীরবর্তী এলাকা থেকে ঘাসবোঝাই করে ছোট বড় ট্রলার আসতে শুরু করে তেঁতুলতলা নামক স্থানে। সেখানে বিক্রি করা হয় এসব ঘাস।

ইলিশ শিকারে সরকারি নিষেধাজ্ঞা থাকায় অনেকেই যুক্ত হয়েছেন এই পেশায়। চরাঞ্চলের এসব মানুষ বর্তমানে এখান থেকেই আয়ের উৎস বের করার জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানান তারা।

সরেজমিন দেখা যায়, নদীর তীরে ঘাটটিতে ভোর হতে না হতেই ঘাসের স্তূপ দেখা যায় এখানে। দোহারসহ আশপাশের এলাকা থেকে মানুষ আসে এই ঘাস কিনতে। ২০ বছর ধরে চলছে এই বাজার। গরু-ছাগলের খাদ্য হিসেবে পরিচিত নেপিয়ার, দুর্বাঘাস, গর্বাঘাসসহ অনেক ধরনের ঘাসের স্তূপ নিয়ে বসে থাকেন বিক্রেতারা। সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত বিক্রি হয়।

জানা যায়, প্রতিটি ঘাসের আঁটি আকার ভেদে বিভিন্ন দামে বিক্রি হয়। এক আঁটি কাঁঠালপাতা ৩০ টাকা, দুর্বাঘাস ৭০-৮০ টাকা, গর্বাঘাস ৮০-১০০ টাকা, নেপিয়ার ঘাস প্রকার ভেদে ৩০-৮০ টাকা দরে বিক্রি হয়।

ফরিদপুরের শালীপুর থেকে ঘাস বিক্রি করতে আসা মনির হোসেন (৩০) বলেন, প্রতিদিন এখানে ঘাস বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করি। তবে আগেরমতো দাম পাওয়া যায় না।

আরও এক ঘাস বিক্রেতা নুরু শেখ (৬০) জানান, প্রতিদিন এখানে অনেক মানুষ ঘাস কিনতে আসেন। তাই সকাল হলে এ ঘাটে আসি।

অরঙ্গবাদ এলাকার ফরিদ (১৫) জানান, আমরা গরিব মানুষ। ঘাস বিক্রির টাকায় সংসার চালাই। আমার লেখাপড়ার খরচও এখান থেকে চালাই। মাঝে মাঝে পদ্মায় মাছ ধরি। এখন ইলিশ শিকার বন্ধ তাই ইনকামও কম।

ঘাস ক্রয় করতে আসা হুকুম আলী (৬২) নামে এক বৃদ্ধ জানান, আমি প্রায়ই আসি এই ঘাসের বাজারে। আজকে তিন আঁটি ঘাস কিনেছি ২১০ টাকা দিয়ে। এছাড়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকার মানুষ এখানে ঘাস কিনতে আসেন।

স্থানীয়রা জানান, বেশ কয়েক বছর ধরে এই ঘাটে এমন ঘাসের বাজার বসে। বেশিরভাগ গরিব মানুষ কোনো কাজ না পেয়ে পদ্মার শালীপুর থেকে ভোররাতে বের হয়ে ঘাস কেটে এখানে বিক্রি করেন। সব বয়সের মানুষকে এই ঘাটে দেখতে পাওয়া যায় ঘাস বিক্রি করতে। ক্রেতার সংখ্যাও অনেক বেশি। তবে বেশি পরিশ্রম করে ঘাস বিক্রি করে তেমন টাকা হাতে নিতে পারেন না বিক্রেতারা। সংসারের খরচ মেটাতে হিমশিম খেতে হয় তাদের। অন্য কোনো কাজ পেলে সচ্ছলভাবে সংসার চালাতে পারবেন বলে জানান তারা।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম