মাদ্রাসার আবাসিক ছাত্রীকে দিনের পর দিন ধর্ষণ
গোমস্তাপুর (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:১৩ পিএম
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরে একটি মহিলা মাদ্রাসার আবাসিক ছাত্রীকে দিনের পর দিন ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে নৈশপ্রহরীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় গত রোববার গোমস্তাপুর থানায় একটি এজাহার দায়ের করেছেন নির্যাতিতা ছাত্রীর পিতা।
থানায় দায়ের করা এজাহার সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার একটি মহিলা হাফিজিয়া মাদ্রাসার আবাসিক ছাত্রীকে (১৪) ওই মাদ্রাসার পরিচালক শারমিন খাতুনের সহায়তায় নৈশপ্রহরী একই ইউনিয়নের সুবইল গ্রামের মৃত রুস্তম আলীর ছেলে ঝাটু আলী (৬৫) দীর্ঘদিন যাবত জোরপূর্বক ধর্ষণ করে আসছে। ঝাটু আলী ওই মাদ্রাসা পরিচালকের পিতা। তিনি ওই মাদ্রাসায় নৈশপ্রহরী হিসেবে কর্মরত।
সর্বশেষ গত ১৭ অক্টোবর রাতে ওই নৈশপ্রহরী মাদ্রাসায় ঘুমন্ত ওই ছাত্রীকে জোরপূর্বক উঠিয়ে নিয়ে ধর্ষণ করেন। এ সময় কয়েকজন ছাত্রী তাকে বাধা দিতে গেলে তাদের ভয়ভীতি দেখানো হয়। নির্যাতিতা ছাত্রীকে পবিত্র কুরআন শরিফে হাত রেখে শপথ করানো হয় এ ঘটনা প্রকাশ না করার জন্য।
নির্যাতন সইতে না পেরে গত ২০ অক্টোবর ওই ছাত্রী বিষয়টি তার পরিবারকে জানায়। পরে স্থানীয়ভাবে এ ঘটনার মীমাংসার চেষ্টা করে ব্যর্থ হলে রোববার গোমস্তাপুর থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন নির্যাতিতার পিতা।
গোমস্তাপুর থানার ওসি শহিদুল ইসলাম জানান, অভিযোগ পাওয়ার পর একজন পুলিশ কর্মকর্তাকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তদন্তের পর প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে তদন্তের দায়িত্ব পাওয়া গোমস্তাপুর থানার এসআই আরেফিন জানান, প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের কিছুটা সত্যতা পাওয়া গেছে।