সংস্কার শেষে কালুরঘাট সেতু দিয়ে যান চলাচল শুরু
চট্টগ্রাম ব্যুরো
প্রকাশ: ২৭ অক্টোবর ২০২৪, ১০:৫৩ পিএম
যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে চট্টগ্রামের কালুরঘাট সেতু। রোববার সকাল ১০টা থেকে সেতুটি খুলে দেওয়া হয়। এই সেতুটি নগরী থেকে বোয়ালখালী ও পটিয়া উপজেলার কয়েক লাখ মানুষের যাতায়াতের প্রধান অবলম্বন।
সংস্কার কাজের জন্য প্রায় ১৫ মাস সেতু দিয়ে যান চলাচল বন্ধ ছিল। এ কারণে এ অঞ্চলের সাধারণ মানুষদের পোহাতে হয়েছে নানা দুর্ভোগ। সংস্কারের মাধ্যমে ৯৩ বছরের পুরোনো সেতুটি রেল ও যান চলাচলের জন্য উপযোগী করা হয়েছে।
এদিকে সেতুর প্রশস্ত কম থাকায় একসঙ্গে দুই দিকের গাড়ি চলাচল করা সম্ভব নয়। তবে তদারকির অভাবে যান চলাচল শুরুর প্রথম দিন একসঙ্গে দুই দিকের গাড়ি চলাচল শুরু করলে সেতুর মাঝখানে গিয়ে আটকে যায়। এতে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ মানুষ।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল সূত্র জানায়, ২০২৩ সালের ১ আগস্ট কর্ণফুলী নদীর ওপর নির্মিত ৯৩ বছরের পুরোনো কালুরঘাট সেতুর সংস্কারকাজ শুরু করা হয়। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেডকে ৪৩ কোটি টাকার সংস্কারকাজের জন্য কার্যাদেশ দেওয়া হয়। কাজের জন্য সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল ছয় মাস; কিন্তু এ সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করতে পারেনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি।
গত ২৪ সেপ্টেম্বর কালুরঘাট সেতুর সংস্কার কাজ পরিদর্শন করেন বুয়েটের তিন সদস্যের বিশেষজ্ঞ দল। তারা সংস্কার কাজের অগ্রগতি ও গুণগতমান পরীক্ষা শেষে দ্রুততম সময়ের মধ্যে যান চলাচলের জন্য সেতু চালু করে দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন। মূলত দোহাজারী-কক্সবাজার নতুন রেলপথ নির্মাণকাজ শেষপর্যায়ে আসার পরও নতুন সেতু নির্মাণ না হওয়ায় পুরাতন কালুরঘাট সেতু সংস্কারের উদ্যোগ নেয় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। কালুরঘাট সেতু দিয়ে বর্তমানে কক্সবাজার পর্যন্ত দৈনিক তিন জোড়া ট্রেন ও দোহাজারী পাওয়ার প্ল্যান্টের জ্বালানিবাহী ট্রেন চলাচল করছে।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক নাজমুল ইসলাম জানান, যান চলাচলের জন্য কালুরঘাট সেতু খুলে দেওয়া হয়েছে। ভারি যানবাহন যাতে চলাচল করতে না পারে তাই সেতুর প্রবেশমুখে ৮ ফুট উচ্চতার প্রতিবন্ধকতা দেওয়া হয়েছে। সেতুর একপাশে হেঁটে চলাচলের জন্য নির্মাণ করা হয়েছে ওয়াকওয়ে। এটি দিয়ে পথচারীরা সেতু পার হতে পারছেন। এছাড়া টোল আদায়ের প্রক্রিয়া শুরুর আগপর্যন্ত বিনা টোলে যানবাহন চলাচল করতে পারবে।