গোলাপগঞ্জে বাজার মনিটরিংয়ে ইউএনও
গোলাপগঞ্জ (সিলেট) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৭ অক্টোবর ২০২৪, ১০:৪৮ পিএম
সিলেটের গোলাপগঞ্জে কাঁচাবাজারে দ্রব্যমূল্যে অস্থিরতা বিরাজ করছে। প্রধান বাজারগুলো থেকে গ্রামপর্যায়ে বাজারগুলোর অবস্থা প্রায় একই। এমন কোনো পণ্য নেই যে বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে না।
পটোল, আলু, চিচিঙ্গা, ধেড়স, ঝিঙ্গা, শসা ও কাঁচামরিচসহ সব জিনিসপত্রের দামে আগুণ। এমন পরিস্থিতিতে বাজার মনিটরিংয়ে নেমেছে উপজেলা প্রশাসন।
রোববার উপজেলার লক্ষণাবন্দ ইউনিয়নের পুরকায়স্থ বাজার মনিটরিংয়ে গিয়ে দোকানে দাঁড়িয়ে কম দামে কাঁচামরিচ বিক্রি করান তিনি।
কমদামে কাঁচামরিচ কিনতে ক্রেতারা ভিড় করেন দোকানে। মুহূর্তের মধ্য দোকানে থাকা কাঁচামরিচগুলো নিমিষেই বিক্রি হয়ে যায়।
জানা যায়, দীর্ঘদিন থেকে কাঁচাবাজারে জিনিসপত্রে যেন আগুন ঝরছে। লাউ ছোট ৬০ টাকা, আলু ৫৫-৬০ টাকা, পটোল ৭০ টাকা, টমেটো ২০০-১৮০ টাকা, জিঙ্গা ৭০ টাকা, সিসিঙ্গা ৭০ টাকাসহ সব পণ্য বাড়তি দামে বিক্রি করা হচ্ছে। এমন খবরে বাজার মনিটরিংয়ে নামে উপজেলা প্রশাসন।
রোববার উপজেলার লক্ষণাবন্দ ইউনিয়নের পুরকায়স্থ বাজারে বাজার মনিটরিং করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আলী রাজিব মাহমুদ মিঠুন।
এ সময় বাজার মনিটরিংয়ের সময় মূল্যতালিকা না থাকায় একটি দোকানে ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়। এরপর পুরকায়স্থ নতুন বাজারে অভিযান চালানো হয়। এ সময় বাজারে ২৫০-২০০ টাকা কাঁচামরিচের কেজি বিক্রি করা হচ্ছে বলে ক্রেতারা অভিযোগ করেন। পরে ইউএনও এক ব্যবসায়ীকে কেন এত দামে কাঁচামরিচ বিক্রি করা হচ্ছে জানতে চাইলে তিনি সঠিক উত্তর দিতে পারেননি। পরে তার ভুল স্বীকার করলে ইউএনও দোকানে দাঁড়িয়ে ১৫০ টাকা কেজিতে কাঁচামরিচ বিক্রি করান।
এ সময় মুহূর্তের মধ্যে দোকান থেকে সব কাঁচামরিচ নিমিষেই শেষ হয়ে যায়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আলী রাজিব মিঠুন বলেন, প্রতিদিন উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাজার মনিটরিং করা হবে।