ভারতীয় ভিসা বন্ধ, বেনাপোল দিয়ে কমেছে পাসপোর্ট যাত্রী
মো. কামাল হোসেন, বেনাপোল
প্রকাশ: ২৭ অক্টোবর ২০২৪, ১০:৩১ পিএম
বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে ভারতগামী যাত্রীর সংখ্যা ক্রমেই কমে আসছে। ভিসা প্রদানের ক্ষেত্রে ভারত সরকার বিধিনিষেধ আরোপ করায় কমেছে যাত্রী পারাপার; যার বিরূপ প্রভাব পড়েছে এখানে।
বেনাপোল দেশের আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট ও বৃহত্তম স্থলবন্দর। চিকিৎসা, ব্যবসা-বাণিজ্য ও ভ্রমণের জন্য দেশের বিভিন্ন এলাকার হাজার হাজার মানুষ এ চেকপোস্ট দিয়ে ভারতে যাতায়াত করে থাকেন কিন্তু গেল তিন মাসে যাত্রীর সংখ্যা অনেক কমে গেছে।
আগে যেখানে আয় হতো মাসে ১৫ কোটি টাকা। এখন সেখানে হচ্ছে মাত্র ৩ কোটি টাকা। বিজনেস ভিসাপ্রাপ্তিতেও বিড়ম্বনায় পড়ছেন অনেক আমদানি-রফতানিকারক।
বেনাপোল থেকে কলকাতার দূরত্ব কম হওয়ায় অধিকাংশ যাত্রী এই পথেই ভারত যেতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। যাত্রীদের অধিকাংশই রোগী। ট্যুরিস্ট, বিজনেস, স্টুডেন্ট যাত্রীদের সংখ্যা নেই বললেই চলে। ভিসা বন্ধ থাকায় বেকায়দায় পড়েছেন তারা। ভারত সরকার বিজনেস ভিসা না দেওয়ায় বৃহত্তম এ স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি রফতানি বাণিজ্যেও প্রভাব পড়তে শুরু করেছে।
বছরে এ বন্দরে ভ্রমণ কর থেকে ১৮২ কোটি টাকার রাজস্ব আয় হয়। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের আগে প্রতি মাসে গড়ে ১৫ কোটি টাকার রাজস্ব আয় হতো। বর্তমানে রাজস্ব আদায় হচ্ছে মাসে ৩ কোটি টাকা। বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে প্রতি মাসে গড়ে ৫ হাজার যাত্রী যাতায়াত করত। ৫ আগস্টের পরে যাত্রী নেই বললেই চলে।
ভিসাপ্রত্যাশী জয়ন্ত দাস বলছেন, ভারতীয় হাইকমিশন থেকে ভিসা গত তিন মাস বন্ধ থাকায় দুই দেশের মধ্যে যাত্রী যাতায়াত কমে গেছে। পরিবার-পরিজন নিয়ে ডাক্তার দেখাতে ভারতে যাওয়া প্রয়োজন। ২৪ জুলাই ভারতীয় ভিসার জন্য আবেদন করেছিলাম। পাসপোর্ট জমা দেওয়ার তারিখ পেয়েছি ১২ অক্টোবর। কবে ভিসা পাব, আর কবে ডাক্তার দেখাতে যাব বুঝতে পারছি না।
সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. শামছুর রহমান বলেন, আসলে ভিসা জটিলতার কারণে আমাদের এ বন্দর দিয়ে পাসপোর্ট যাত্রীদের যাতায়াত পূর্বের তুলনায় অনেক কমে গেছে। আমরা চাই এ বন্দর সচল রাখতে ভারতীয় ভিসা জটিলতা দ্রুত সমাধান হোক এবং আগের নিয়মে পাসপোর্ট যাত্রীদের যাতায়াত স্বাভাবিক চলমান থাকুক।
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমতিয়াজ ভূঁইয়া জানান, বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে পূর্বে ৫ থেকে ৭ হাজার যাত্রী যাতায়াত করতেন। ৫ আগস্টের পর যাত্রী সংখ্যা অনেক কমে গেছে। ভিসা না দেওয়ার পর যাত্রী সংখ্যা নেই বললেই চলে।