গাইবান্ধা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে রাজস্ব শাখার অফিস সহায়ক পদে নিয়োগের মৌখিক পরীক্ষায় প্রক্সি দিতে এসে ২২ জন ভুয়া পরীক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছে। পরে আটকদের পুলিশে দিলে তাদের থানায় নেওয়া হয়।

চাকরিপ্রত্যাশী আটককৃতদের বাড়ি জেলার বিভিন্ন উপজেলায়। লিখিত পরীক্ষার খাতার সঙ্গে হাতের লেখার মিল না থাকায় তাদের শনাক্ত করে আটকের কথা জানান নিয়োগ বোর্ডের সদস্যরা।  

শনিবার রাতে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে মৌখিক পরীক্ষা চলাকালে তাদের আটক করেন নিয়োগ বোর্ডের সদস্যরা। দুপুর ২টা থেকে ২২৬ জনের মৌখিক (ভাইভা) পরীক্ষা শুরু হয়। তবে শেষপর্যন্ত ৩৬ জন প্রার্থী মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেননি।

রাত ১১টার দিকে বিষয়টি নিয়োগ বোর্ডের সদস্য ও স্থানীয় সরকার বিভাগ গাইবান্ধার উপ-পরিচালক মো. শরিফুল ইসলাম নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেওয়া ২২ জনের লিখিত পরীক্ষার খাতার লেখার সঙ্গে মিল পাওয়া যায়নি। ভাইভা বোর্ডের সামনে তারা স্বীকার করেন, তাদের পরিবর্তে প্রক্সি ক্যান্ডিডেট পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে। অর্থাৎ প্রকৃত পরীক্ষার্থীর পরিবর্তে অন্য কেউ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে বিষয়টি প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাদের পুলিশে দেওয়া হয়। ধারণা করা হচ্ছে, নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতির পেছনে বিশাল কোনো সিন্ডিকেট জড়িত রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তদন্ত করে ঘটনার সম্পূর্ণ সত্যতা উদঘাটন করবে মর্মে আশা করা যায়।

শুক্রবার জেলা শহরের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অনুষ্ঠিত লিখিত পরীক্ষায় ৩ হাজার ৭২২ জন প্রার্থী অংশগ্রহণ করেন। পরীক্ষার ফলাফলে ২২৬ জন প্রার্থী উত্তীর্ণ হন। চলতি বছরের গত ২৫ মে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের রাজস্ব শাখার অফিস সহায়ক ৫৫টি শূন্যপদ পূরণের নিমিত্তে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন সাবেক জেলা প্রশাসক কাজী নাহিদ রসুল। এতে এইচএসসি ও এসএসসি পাশ করা চাকরি প্রত্যাশীরা আবেদন করেন।