বোরহানউদ্দিনে প্রশ্নবিদ্ধ মা ইলিশ রক্ষা অভিযান
বোরহানউদ্দিন প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:৪০ পিএম
প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়েছে ভোলার বোরহানউদ্দিনে ২২ দিনের মা ইলিশ রক্ষা অভিযান। ঢিলেঢালা অভিযান ও উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার রহস্যজনক ভূমিকায় মা ইলিশ রক্ষা অভিযান ভেস্তে যাচ্ছে বলে মনে করেন সচেতন মহল।
প্রতিদিন তেতুলিয়া তীরবর্তী অন্তত ২০টি ঘাটে প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে টনে টনে ইলিশ। সাচড়া ৬নং ওয়ার্ড মাঝির খাল, বাবুর্চিবাড়ির ঘাট, দেউলা শিবপুর কাজীর ঘাট, ৭নং ওয়ার্ড দেউলা লঞ্চঘাট, কাচারির খাল ঘাট, জয়া খালগোড়া ঘাট, বদ্দারবাড়ি ঘাট, নয়নের খাল ঘাটসহ অস্থায়ী অনেক ঘাটে মা ইলিশ বিক্রি হচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জনপ্রতিনিধি জানান, এ বছর যে হারে মা ইলিশ নিধন হয়েছে তাতে ইলিশের ডিম ছাড়া নিয়ে আমরা শঙ্কায় আছি।
তেতুলিয়া নদীতে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত শত শত জেলে জাল-নৌকা নিয়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। সরেজমিন তেতুলিয়ার পাড়ে গিয়ে দেখা গেছে এমন চিত্র।
অভিযোগ উঠেছে বোরহানউদ্দিন উপজেলার মৎস্য অফিসের অভিযান পরিচালনা দলকে নিয়ন্ত্রণ করেই প্রকাশ্যে নদীতে জাল ফেলে শিকার করা হচ্ছে মা ইলিশ।
অভিযোগ রয়েছে গত ১৪ দিনের অভিযানে শত শত নৌকা-ট্রলার মাঝ নদীতে আটক করলেও দালাদের মাধ্যমে রফাদফা হওয়ার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। নামমাত্র ১৩টি ট্রলার আটক করলেও অভিযান শেষ না হতেই তড়িঘড়ি করে ২৫ অক্টোবর নিলাম দিয়ে দেয় মৎস্য কর্মকর্তা।
এ নিয়ে এলাকায় মৎস্য বিভাগের বিরুদ্ধে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। নদীতে মা ইলিশ শিকার করতে গিয়ে আটক হওয়া একাধিক জেলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, প্রতিটি নৌকা ধরা পড়লে নৌকাপ্রতি ২০ থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত নেওয়াসহ মাছগুলো নিয়ে অন্যত্র বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
তারা আরও জানান, নদীর মাঝেই এসব লেনদেন হচ্ছে বিকাশ, নগদসহ বিভিন্ন মাধ্যমে। তেতুলিয়া নদীতে মা ইলিশ শিকার করতে যাওয়া কয়েকজন জেলে জানান, অভিযানে যেসব জাল আটক করা হয় তা মাঝ নদীতে গিয়ে ছেঁড়া ফাটাগুলো আলাদা করে ভালো জাল নৌকার নিচের খোন্দলে রেখে নষ্ট জাল নদীর পাড়ে পুড়িয়ে মানুষজনকে দেখিয়ে, ভালো জাল গোপনে অন্যত্র বিক্রি করে দেয় তারা।
এসব অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে বোরহানউদ্দিন উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মনোজ কুমার সাহা অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, যারা এসব অভিযোগ করেছেন তাদের নিয়ে আমার অফিসে আসেন।