ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ
মায়ের গহনার টাকায় সৌরভের চিকিৎসা, সহায়তা কামনা
কাউনিয়া (রংপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৭ অক্টোবর ২০২৪, ০১:১০ এএম
আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ সৌরভের চিকিৎসা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষক বাবা ওসমান গণি। সহযোগিতা না পেলে হয়তো বরণ করতে হবে পঙ্গুত্ব। রাজধানীর বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজির (বিইউবিটি) সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী সৌরভ ইসলামের বাড়ি কাউনিয়ার টেপামধুপুর ইউনিয়নের রাজীব শটিবাড়ি গ্রামে।
সৌরভ ইসলাম বলেন, ১৯ জুলাই ছাত্রাবাস থেকে বের হয়ে আন্দোলনে যোগ দিই। বিকালে মিরপুর-১০ এর সামনে এলে পুলিশ ও ছাত্রলীগের গুলির মুখে পড়ি। এ সময় আমার ডান পায়ের হাঁটুর পাশ দিয়ে একটি গুলি ঢুকে অপর পাশ দিয়ে বেরিয়ে যায়। এতে পায়ের হাড় ফেটে গিয়ে গভীর ক্ষত হয়। পরে আন্দোলনকারী কয়েকজন শেওড়াপাড়ার একটি হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে আমাকে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নেওয়া হয়।
পরে চিকিৎসক আমাকে পঙ্গু হাসপাতালে (নিটোর) রেফার করেন। সেখানে যাওয়ার পথে আওয়ামী লীগের সশস্ত্র বাহিনীর বাধার মুখে পড়ি। পরে আমাকে ইবনে সিনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পড়ালেখার পাশাপাশি আমি একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করতাম। সে চাকরি চলে গেছে। অলংকার বানানোর জন্য বাবা-মায়ের জমানো টাকায় আমার চিকিৎসা করিয়েছে। হাসপাতালের বেড ভাড়া আর কিছু ওষুধ ফ্রি পেলেও চিকিৎসার অধিকাংশ খরচ নিজেদের বহন করতে হচ্ছে। সরকার চিকিৎসার জন্য ১ লাখ টাকা প্রদানের ঘোষণা দেওয়ার পর আর কেউই সাহায্য করছে না।
চিকিৎসকরা বলেছেন, স্বাভাবিক জীবন ফিরে পেতে আমার উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন। আমার বাবা সামান্য একজন কৃষক। তার পক্ষে আমার চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করা অসম্ভব। বাবা ওসমান গনি ছেলের উন্নত চিকিৎসার জন্য সরকার ও বিত্তবান মানুষের কাছে আর্থিক সহায়তা কামনা করেন।