ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহত দাউদকান্দির রিফাত ও বাবুর লাশ উত্তোলন
কুমিল্লা উত্তর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৬ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:৩০ পিএম
দাউদকান্দিতে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহত শিক্ষার্থী রিফাত ও দিনমজুর বাবুর লাশ কবর থেকে তোলা হয়েছে। রিফাত উপজেলার বারপাড়া ইউনিয়নের সুকিপুর গ্রামের মৃত আব্দুল হামিদের ছেলে। সুন্দলপুর হাইস্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্র ছিল।
মামলার তদন্তের জন্য আদালতের নির্দেশে শনিবার দুপুরে সুকিপুর কবরস্থান থেকে তার লাশ তুলেছে প্রশাসন।
গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা অসহযোগ আন্দোলনের প্রথম দিনে রিফাত বুকে গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন। ওনদিন রাতেই মারা যায় রিফাত। পরদিন রিফাতের মরদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফন করেছিল পরিবার।
গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বিকেলে দাউদকান্দি মডেল থানার সামনে দিনমজুর বাবু মিয়া (২৩) গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। নিহত বাবু তুজারভাঙ্গা গ্রামের গ্রামের অটোরিকসাচালক আব্দুল মান্নানের ছেলে।
এ ঘটনার ১৩ দিন পর ১৮ আগস্ট রিফাত হোসেনের মামা পরিচয়ে জনৈক আব্দুর রাজ্জাক ফকির বাদী হয়ে দাউদকান্দি মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। একই দিন থানায় আরো একটি হত্যা মামলা করা হয়।
আন্দোলনে নিহত দিনমজুর বাবুর প্রতিবেশি লিটন আহম্মেদ পাভেল বাদী হয়ে ৪৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ১০০ থেকে ১৫০ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন।
এরপর গত ১ সেপ্টেম্বর রিফাত হত্যার ঘটনায় কুমিল্লার আদালতে আরেকটি হত্যা মামলা করা হয়। আদালতে করা মামলার বাদী নিহত রিফাতের মা নিপা বেগম। তিনটি মামলাই সাবেক সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুর, উপজেলা চেয়ারম্যান মেজর (অব.) মোহাম্মদ আলী, পৌর মেয়র নাইম ইউসুফ সেইনসহ ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের চার শতাধিক নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক কার্যালয় কর্তৃক নিযুক্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দাউদকান্দি উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. রেদওয়ান ইসলাম, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দাউদকান্দি মডেল থানার উপপরিদর্শক হারুন উর রশিদ।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রেদওয়ান ইসলাম বলেন, আমরা আদালতের নির্দেশে আইনি কার্যক্রম পরিচালনার জন্য লাশ তুলে কুমিল্লা মর্গে পাঠাবো। ময়নাতদন্তের পর আবার লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। আসলে সেদিন কি ঘটেছিল ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনের আলোকে পরবর্তী কার্যক্রম পরিচালিত হবে।