শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুরে আওয়ামী লীগ নেতার স্ত্রী লুৎফা বেগমকে (৬৬) ছুরি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে দুর্বৃত্তের বিরুদ্ধে।

এ সময় পান্না বেগম (২৫) নামে একজনকে গলা কাটা অবস্থা উদ্ধার করে শরীয়তপুর সরকারি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার মাগরিবের নামাজের সময় চরসেনসাস ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের বালা কান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত লুৎফা বেগম চরসেনসাস ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ‘উপদেষ্টা রফিকুল ইসলাম বালার সহধর্মীনি। আহত পান্না বেগম একই গ্রামের বাসিন্দা মৃত বাচ্চু মোল্যার মেয়ে।

নিহতের স্বজন টিটু বালা বলেন, মাগরিবের নামাজ পড়া অবস্থায় আমার চাচা রফিক বালার স্ত্রী লুৎফা বেগমকে পান্না ছুরিকাঘাত করে গলা কেটে হত্যা করে। এ সময় চিৎকার চেঁচামেচি শোনার পর নিহতের ছেলে রাসেল বালার স্ত্রী এসে দেখে পান্না ঘরে একা আর তার শাশুরি রক্তাক্ত হয়ে পড়ে আছে। তখন পান্না রাসেলের স্ত্রীকে আক্রমণের চেষ্টা করলে রাসেলের স্ত্রী এলাকাবাসীকে ডাক দিয়ে নিয়ে আসলে পান্নাকেও গলাকাটা অবস্থায় শুয়ে থাকতে দেখে। এরপর পান্নাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়। তবে রফিক বালার স্ত্রীর মৃত্যুর ব্যাপারটি রহস্য মনে করছেন স্থানীয়রা।

সখিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওবায়েদুল হক বলেন, আমরা খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে এসে আহত পান্না বেগমকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠিয়েছি। এখন ঘটনাস্থান পরিদর্শন করে আমরা নিহত লূতফা বেগমকে ময়নাতদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে পাঠাব। এ বিষয় মামলা প্রক্রিয়াধীন।