গৃহবধূকে শ্বাসরোধে হত্যা, স্বামী পলাতক
টঙ্গী পূর্ব (গাজীপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৪ অক্টোবর ২০২৪, ১০:৪৭ পিএম
গাজীপুরের টঙ্গীতে পা বেঁধে শ্বাসরোধ করে এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার ভোরে ৬টার দিকে টঙ্গীর মিরাশপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
মৃত ওই গৃহবধূর নাম ময়না বেগম (৩৮)। তিনি ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা থানার দূপপাশা গ্রামের আয়নাল মাদবরের মেয়ে।
পরে সকাল ১০টার দিকে খবর পেয়ে টঙ্গী পূর্ব থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) এম সাফায়েত ওসমান লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুরের শহিদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছেন।
ঘটনার পর থেকেই ময়নার স্বামী আলম (৪৩) পলাতক রয়েছেন। তিনি বরগুনা জেলার সদর থানার আড়িখাল গ্রামের সিদ্দিক মিয়ার ছেলে। আলম পেশায় একজন চা বিক্রেতা।
মৃত ময়না টঙ্গীর মিরাশপাড়া এলাকার জনৈক শফিউর রহমানের ভাড়াবাড়ির একটি কক্ষে স্বামী আলমের সঙ্গে বাস করতেন।
স্বজনদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, ময়না বেগম টঙ্গীতে একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। প্রায় সাত মাস আগে আলম ও ময়না নিজেদের পছন্দে বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকে টঙ্গীর মিরাশপাড়া এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে বাস করছিলেন এই দম্পতি।
বিয়ের পর থেকেই পারিবারিক নানা বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে প্রায়ই কথা কাটাকাটি ও ঝগড়া হতো। গতকাল রাতে ফের কথা কাটাকাটি হয়। পরে বৃহস্পতিবার ভোরে স্বামী আলম বাসা থেকে চলে যান।
এরই একপর্যায়ে পার্শ্ববর্তী কক্ষের ভাড়াটিয়া মাহফুজা আক্তার ওই কক্ষে গেলে বিছানার উপর ময়নার পা বাঁধা ও বালিশচাপা দেওয়া নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখে অন্য ভাড়াটিয়াদের ডাকেন।
পরে স্থানীয়রা পুলিশের খবর পাঠালে বেলা ১১টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
ময়নার পা বেঁধে প্রথমে গলায় ওড়না দিয়ে শ্বাসরোধ ও পরে বালিশচাপা দিয়ে হত্যা করা হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ।
টঙ্গী পূর্ব থানার ওসি কায়সার আহমদ বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হবে। হত্যার অভিযোগে স্বামী আলমকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।