ঝালকাঠিতে দ্রুতবিচার আইনে মিথ্যা চাঁদাবাজি মামলা করায় বাদী মাসুম হাওলাদারকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার দুপুরে দ্রুতবিচার আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মনিরুজ্জামান জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে বাদীকে কারাগারে প্রেরণের আদেশ দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) মজিবর রহমান।
আদালত সূত্র জানায়, গত ৭ সেপ্টেম্বর ঝালকাঠির সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর কাউন্সিলর হাফিজ আল মাহমুদসহ ২১ জনের বিরুদ্ধে দ্রুতবিচার আইনে চাঁদাবাজি মামলা করেন রাজমিস্ত্রি মাসুম হাওলাদার।
আদালত ঝালকাঠি সদর থানা পুলিশকে অভিযোগ এফআইআর হিসেবে রেকর্ড করার নির্দেশ দেন। ঝালকাঠি থানার ওসি ১১ সেপ্টেম্বর মাসুম হাওলাদারের অভিযোগ এফআইআর হিসেবে রেকর্ড করে এসআই নজরুল ইসলামকে তদন্তের আদেশ দেন।
মামলায় মাসুম হাওলাদার দাবি করেছিলেন, ১নং আসামি হাফিজ আল মাহমুদসহ সব আসামি বাদীর কাছে ঠিকাদারি কাজ বাবদ গত ১ জুলাই সকালে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দেওয়ায় আসামিরা বাদীকে দেশীয় অস্ত্র দ্বারা মারধর করে। মামলায় হাফিজ ছাড়াও ব্যাংক ম্যানেজারসহ কয়েকজন নিরীহ ব্যক্তিকে আসামি করা হয়।
কিন্তু বাদী তার অভিযোগের স্বপক্ষে কোনো সাক্ষ্যপ্রমাণ দিতে পারেননি। তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়নি উল্লেখ করে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম। একই সাথে তদন্ত কর্মকর্তা দ্রুতবিচার আইনের ৬ ধারায় মিথ্যা মামলা করায় বাদীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন করেন।
দ্রুতবিচার আদালতের বিচারক মো. মনিরুজ্জামান গত ৩ অক্টোবর পুলিশের চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে মামলার বাদী মো. মাসুম হাওলাদারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরওয়ানা জারি করেন। বৃহস্পতিবার মাসুম হাওলাদার আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।