বেগমগঞ্জে শিশুকে অপহরণের পর হত্যা, চাচাসহ যাবজ্জীবন ২
নোয়াখালী প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৩ অক্টোবর ২০২৪, ১১:২৯ পিএম
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় মেহেরাজ হোসেন ওরফে জিসান নামে ৭ বছরের শিশুকে অপহরণ করে হত্যার দায়ে চাচাসহ ২ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রায়ে আসামিদের প্রত্যেককে দুটি ধারায় ১ লাখ ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন- বেগমগঞ্জ উপজেলার ৩নং জিরতলী ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামের নুরুল আমিনের ছেলে আবদুর রহিম ওরফে রনি (২১) ও একই গ্রামের সহিদ উল্যার ছেলে সালমান হোসেন শিবলু (২২)।
বুধবার দুপুর দেড়টার দিকে জেলা ও দায়রা জজ নোয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর মোহাম্মদ আবদুর রহিম এ রায় দেন।
মামলা ও ভুক্তভোগী পরিবার সূত্র জানায়, নিহত জিসান স্থানীয় জিরতলী বাজারের কাসেম উলুম মাদ্রাসার দ্বিতীয় জামাতের ছাত্র ছিল। ২০১৯ সালের ২১ মার্চ দুপুর ১টার দিকে মাদ্রাসা থেকে বাড়ি ফেরার পথে ভিকটিমের মায়ের অসুস্থতার কথা বলে অপরহরণ করে নিয়ে যায় আসামি রনি ও তার বন্ধু শিবলু।
পরে তাকে জেলার সদর উপজেলার নোয়ান্নই ইউনিয়নের শাহাদাতপুর গ্রামের একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে নিয়ে যায়। সেদিন সন্ধ্যায় তার পরনের জামাকাপড় দিয়ে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। একপর্যায়ে তার শরীরের অর্ধেক মাটিতে পুঁতে রেখে নিহতের পরিবারের কাছে মুক্তিপণ দাবি করে।
এর দুই দিন পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় নিহতের পরিবার অজ্ঞাত আসামি করে থানায় মামলা করে। পরবর্তীতে পুলিশ তদন্ত করে ২ আসামিকে গ্রেফতার করে আদালতে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেয়। আদালত ২২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আসামিদের যাবজ্জীবন করাদণ্ড দেন।
রাষ্ট্রপক্ষে সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) মামুনুর রশীদ লাভলু মামলাটি পরিচালনা করেন। তিনি বলেন, ভিকটিমের বাবা প্রবাসে ছিলেন। আসামি রনি ভিকটিম জিসানের একই বাড়ির দূর সম্পর্কের কাকা হয়।
মামুনুর রশীদ জানান, অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল কিনতে রনি ও তার বন্ধু লাভলু অপহরণের ঘটনা ঘটায়। পরে তারা জিসানকে হত্যা করে মুঠোফোনে চাঁদা দাবি করে। আদালত দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে আসামিদের উপস্থিতিতে রায় দেন।