Logo
Logo
×

সারাদেশ

সাবেক আইজিপি ও র‌্যাবের সাবেক ডিজিসহ ১৮ জনের নামে মামলা

Icon

দিনাজপুর প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৩ অক্টোবর ২০২৪, ১০:৩২ পিএম

সাবেক আইজিপি ও র‌্যাবের সাবেক ডিজিসহ ১৮ জনের নামে মামলা

দিনাজপুরে পুলিশের সাবেক আইজি একেএম শহিদুল ইসলাম ও র‌্যাবের সাবেক মহাপরিচালক বেনজির আহমেদসহ ১৮ জনকে আসামি করে মানবপাচারের মামলা করেছেন মো. আতিউল্লাহ সরকার নামে পার্বতীপুরের এক যুবক।

মো. আতিউল্লাহ সরকার দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার শেরপুর (তেলিপাড়া) গ্রামের মৃত ফরিদ উদ্দিনের ছেলে ও স্থানীয় জাহানাবাদ মণ্ডলপাড়া জামে মসজিদের ইমাম। আসামিদের মধ্যে ৫ জন ছাড়া সবাই পুলিশ ও র‌্যাবের সদস্য।

বুধবার দুপুরে দিনাজপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক মো. হুমায়ুন কবিরের আদালতে এ মামলাটি করেন।

বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে আগামী ৭ দিনের মধ্যে এজাহার হিসেবে গণ্য করার জন্য পার্বতীপুর থানাকে নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গত ২০১৭ সালের ২৩ জুন রমজান মাসে আনুমানিক রাত সাড়ে ৯টায় দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার জাহানাবাদ মণ্ডলপাড়া মসজিদে এশা ও তারাবির নামাজ আদায় করাকালীন ১৫-১৬ জন সাধারণ পোশাকে মসজিদে এসে বাদীকে মসজিদ থেকে তাদের গাড়ির সামনে নিয়ে আসে। বাদী সরল বিশ্বাসে গাড়ির কাছে যাওয়া মাত্রই ধাক্কা দিয়ে গাড়িতে তুলে নেয় ও হাতে হ্যান্ডকাপ লাগিয়ে দেয় এবং মুখমণ্ডলসহ মাথা কালো টুপিতে আবৃত করে অপহরণ করে নিয়ে যায়।

গাড়িতে তুলে নিয়ে বাদীকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করে। ৬ ঘণ্টা গাড়ি চালিয়ে নেওয়ার পর বাদীর চোখ বাঁধা অবস্থায় হাতে হ্যান্ডকাপ লাগিয়ে অপরিচিত ও অজানা আয়না ঘর নামীয় ঘরে বন্দি করে রাখে। এখানে রাখা অবস্থায় বাদীকে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্নভাবে শারীরিক নির্যাতন ও ইলেকট্রিক শক দেওয়া হয় ও পৈশাচিক নির্যাতন করা হয়।

৬ মাসের অধিক সময় সেখানে রাখার পর ২০১৮ সালের ৩১ জানুয়ারি দিবাগত রাত আড়াইটায় উক্ত আয়নাঘর হতে বের করে রাজশাহী রাজপাড়া থানায় নিয়ে পুলিশের কাছে আতিউল্লাহ সরকারকে হস্তান্তর করা হয়। পরে র‌্যাব-৫ এর এসআই সোহেল রানা বাদী হয়ে সন্ত্রাস দমন আইনে একটি মামলা করে। পরে আদালতের মাধ্যমে তাকে রাজশাহী কারাগারে পাঠানো হয়। প্রায় চার বছর কারাগারে আটক থাকার পর ২০২২ সালের ১৪ মার্চ আদালতের মাধ্যমে নির্দোষ প্রমাণিত হন ও কারাগার হতে মুক্তি পান আতিউল্লাহ সরকার।

মামলায় বাদী উল্লেখ করেন, দীর্ঘদিন আটক থাকায় তার শিক্ষা জীবন ধ্বংস হয়, শারীরিক ও মানসিক বিপর্যয় ঘটে। এতে তার প্রায় এক কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- আনিসুজ্জামান সরকার, আনোয়ার হোসেন, জামিল হোসেন, লুৎফুর রহমান, তহুবার রহমান, র‌্যাবের এডিশনাল এসপি নূরে আলম,  আনোয়ার হোসেন, র‌্যাবের এসআই সোহেল রানা, র‌্যাব-৫ এর পরিদর্শক সোহেল রানা, আশরাফ উল আলম, র‌্যাবের হাবিলদার মহসিন আলী, ল্যান্স নায়ক মাহবুবুর রহমান, কনস্টেবল হুমায়ুন কবির, বিল্লাল হোসেন, এসআই আনিসুর রহমান, এএসআই সোহেল রানা, এসআই মো. আনিছুর রহমান, পার্বতীপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এএসআই সোহেল রানা ও রাজশাহীর রাজপাড়া থানার এসআই মোহাম্মদ মতিউর রহমান।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম