দোহারে মাদ্রাসায় নির্যাতনে অজ্ঞান শিশু হাসপাতালে, শিক্ষক পলাতক
দোহার-নবাবগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৩ অক্টোবর ২০২৪, ১০:৩২ পিএম
ঢাকার দোহার উপজেলায় মাদ্রাসা শিক্ষক নাজমুল হোসেনের বিরুদ্ধে মধ্যযুগীয় কায়দায় শিশু শিক্ষার্থীকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার সকালে উপজেলার নারিশা ইউনিয়নের ইসলামাবাদ গ্রামের জামিয়া এমদাদিয়া ইসলামাবাদ মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় আহত শিক্ষার্থী সাজিদের মা সাথী আক্তার বাদী হয়ে দোহার থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত শিক্ষক নাজমুল হোসেন পলাতক রয়েছেন।
থানায় লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার সকালে সাজিদ (১০) মাদ্রাসার পড়া দিতে না পারায় ‘নাজেরা বিভাগের’ শিক্ষক নাজমুল হোসেন শিশু সাজিদকে প্রথমে চর-থাপ্পড় দেয়। পরে রেহাল ছুড়ে মারে ও বেত দিয়ে তাকে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করেন। এক পর্যায়ে সাজিদকে আছাড় মারলে শিশুটি অজ্ঞান হয়ে যায়। পরে তার মাকে খবর দেয় মাদ্রাসার শিক্ষক। পরে তার মা গিয়ে শিশুটিকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে দোহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।
মা সাথী আক্তার বলেন, আমার ছেলের ওপর অমানুষিক নির্যাতন চালানো হয়েছে আমি প্রশাসনের কাছে এর সঠিক বিচার চাই।
এ বিষয়ে জানতে জামিয়া এমদাদিয়া ইসলামাবাদ মাদ্রাসার অভিযুক্ত শিক্ষক নাজমুল হোসেনের (০১৮৫৩-২১৯৬৩৮) ব্যবহৃত মোবাইলে কয়েকবার ফোন করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
জামিয়া এমদাদিয়া ইসলামাবাদ মাদ্রাসার মুহতামিম মুফতি মাহাদী হাসান আল ফরিদী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, কোনো ব্যক্তির অপরাধের দায় প্রতিষ্ঠান নেবে না। সঠিক তদন্ত করে যদি শিক্ষক দোষী হয় তাহলে তার শাস্তি হবে।
দোহার থানার উপপরির্দশক (এসআই) শহিদুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। তবে অভিযুক্ত শিক্ষককে প্রতিষ্ঠানে পাওয়া যায়নি। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার মধ্যে অভিযুক্ত শিক্ষককে হাজির করতে বলা হয়েছে।