তাহিরপুরে আবাসিক হোটেলের মালিক রাজু খন্দকার গ্রেফতার
যুগান্তর প্রতিবেদন, তাহিরপুর
প্রকাশ: ২৩ অক্টোবর ২০২৪, ১০:২৯ পিএম
সীমান্তের বড়ছড়া শুল্ক স্টেশনের আবাসিক হোটেল কারবারি আলকাছ খন্দকারের পালকপুত্র নওমুসলিম রাজু আহমেদ ওরফে রাজু খন্দকারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতার রাজু আহমেদ সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের সীমান্ত গ্রাম বড়ছড়ার প্রয়াত শতীন্দ্র চন্দ্র পালের ছেলে ও বড়ছড়া স্থল শুল্ক স্টেশনে থাকা নিবন্ধনবিহীন মেঘালয় আবাসিক হোটেলের মালিক।
বুধবার সুনামগঞ্জ জেলা পুলিশের দায়িত্বশীল অফিসার তাকে গ্রেফতারের তথ্য যুগান্তরকে নিশ্চিত করেন।
এর আগে তাহিরপুর থানার টেকেরঘাট অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ সীমান্তের বড়ছড়া স্থল শুল্ক স্টেশনের রাজুর মালিকানাধীন আবাসিক হোটেল থেকেই মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তাকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়।
সুনামগঞ্জ জেলা পুলিশের দায়িত্বশীল অফিসার জানান, সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানায় গেল ৪ সেপ্টেম্বর দ্রুতবিচার আইনে দায়েরকৃত মামলায় প্রাথমিক তদন্তে অপরাধে জড়িত থাকার বিষয়টি প্রাথমিক তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় রাজু আহমেদ ওরফে রাজু খন্দকারকে সদর মডেল থানা থেকে প্রেরিত রিকুজিশনের পরিপ্রেক্ষিতে তাহিরপুর থানার টেকেরঘাট অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্পের সদস্যরা গ্রেফতার করেন।
মঙ্গলবার রাতে তাহিরপুরের টেকেরঘাট সীমান্তের বড়ছড়া স্থল শুল্ক স্টেশনের একাধিক আমদানিকারক, সাধারণ ব্যবসায়ীগণ জানান, তাহিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি, সদ্য পদত্যাগী আওয়ামী লীগ সরকারের সুবিধাভোগী তাহিরপুর কয়লা আমদানিকারক গ্রুপের টানা সাড়ে ১৫ বছরেরও অধিক মেয়াদকালে সভাপতি পদে থাকা হাজী আলকাছ উদ্দিন খন্দকারের পালকপুত্র নওমুসলিম রাজু আহমেদ ওরফে রাজু খন্দকার পালক পিতার প্রভাবে বড়ছড়া স্থল শুল্ক স্টেশনের কাষ্টমস রোড সংলগ্ন বসতবাড়িকে আবাসিক হোটেলে রূপান্তরিত করেন।
এরপর রাজু ওই হোটেলে স্থানীয় ও বহিরাগত রূপসীদের দালাল চক্রের মাধ্যমে নিয়ে এসে গেল কয়েকবছর প্রকাশে দেহ ব্যবসা, বিদেশি মদ, ইয়াবা সেবন-ক্রয় বিক্রয়ের ও জুয়া খেলার হাট বসিয়েছিল ওই আবাসিক হোটেলে।
অভিযোগ রয়েছে, পুলিশ-বিজিবিসহ গোটা আইনশৃস্খলা বাহিনীর ওপর নজরদারি করার জন্য সীমান্তের স্পর্শকাতর এরিয়ায় কোনোরকম সরকারি অনুমতি না নিয়ে আবাসিক হোটেলের চারপাশজুড়ে সিসি ক্যামেরা লাগিয়ে রাখেন চতুর রাজু।
কয়লা আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের আড়ালে সীমান্তের ওপার থেকে বিনাশুল্কে নিয়ে আসা চোরাচালানের কয়লা কারবারেও তার ছিল গেল সাড়ে ১৫ বছর একচেটিয়া দাপট।
তাহিরপুর থানার ওসি দেলোয়ার হোসেন জানান, মঙ্গলবার রাতেই তাহিরপুর থানা পুলিশের হেফাজত থেকে পুলিশের একটি টিম রাজু আহমেদকে সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানায় নিয়ে গেছে।