গুলি করে হত্যা চেষ্টা মামলায় ধামরাইয়ে ১২ কাউন্সিলরসহ আসামি ৭৪
ধামরাই (ঢাকা) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৩ অক্টোবর ২০২৪, ০২:২৩ এএম
ছবি: সংগৃহীত
ঢাকার ধামরাইয়ে ১২ কাউন্সিলরসহ ৭৪ জনকে আসামি করে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে গুলি করে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ এনে আদালতে এই মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মামলাটি দায়ের করেছেন কুষ্টিয়া জেলা সদরের বাসিন্দা ও বর্তমানে সাভারের আশুলিয়া থানার নিরিবিলি এলাকার ভাড়াটিয়া মোহাম্মদ মানিক হোসেন(৩৫) নামে এক ব্যক্তি। মঙ্গলবার বৈকালিক আদালতে (দ্বিতীয়ার্ধ) স্বনামধন্য বিচারক মুহাম্মদ জুলহাস উদ্দিনের এজলাসে এ মামলাটি দায়ের করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ৫ আগস্ট ঢাকার ধামরাইয়ের একটি বাস স্ট্যান্ডে গুলিবিদ্ধ হন কুষ্টিয়া জেলা সদরের বাসিন্দা ও আশুলিয়া থানার নিরিবিলি এলাকার ভাড়াটিয়া মোহাম্মদ মানিক হোসেন। তাকে ওইদিন ৭৪-৭৫ জন আওয়ামী পরিবারের সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোকজন বেপরোয়া গুলিবর্ষণ করে হত্যার চেষ্টা করে। অনেক কৌশল করে তিনি প্রাণে বেঁচে গেলেও একটি গুলি তার পায়ের গোড়ালিতে বিদ্ধ হয়। পরবর্তীতে স্থানীয়দের সহায়তায় তাকে একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হলে দীর্ঘদিন চিকিৎসার পর সুস্থ হন তিন। পরে বিজ্ঞ আদালতে এ মামলাটি দায়ের করেন তিনি।
মামলার বাদী মোহাম্মদ মানিক হোসেনের পক্ষের বিজ্ঞ আইনজীবী আদালতে তার দায়েরকৃত পিটিশন শুনানি শেষে এ মামলাটি আমলে নেন। সেই সঙ্গে তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ধামরাই থানার পুলিশ পরিদর্শক মোহাম্মদ মনিরুল ইসলামকে নির্দেশ প্রদান করেন।
এ ব্যাপারে ধামরাই থানার অফিসার ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক মোঃ মনিরুল ইসলাম বলেন, আদালতের আদেশ প্রাপ্ত হয়েছি বটে। তবে উক্ত মামলার বাঁদিকে খুঁজে পাচ্ছি না। এ মামলায় সকল কাউন্সিলরসহ ৭৪ জন ব্যক্তিকে আসামি করে এ মামলাটি দায়ের করেছে কুষ্টিয়া জেলা সদরের মোহাম্মদ মানিক হোসেন নামে এক ব্যক্তি। তিনি সবার উপজেলা আশুলিয়া থানাধীন নিরিবিলি এলাকায় ভাড়া করা বাড়িতে বর্তমানে বসবাস করেন বলে জানা গেছে। তবে তাকে কোন স্থানে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
মামলার ক্ষেত্রে কোন আইনানুক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হলে বাদীর উপস্থিতি এবং স্বাক্ষর অতীব জরুরী। বাদীর কোন সন্ধান না পাওয়ায় ব্যবস্থা গ্রহণে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হচ্ছে।
এ ব্যাপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীরা জানান এ মামলাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা বৃত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আমাদেরকে হয়রানি করার জন্য এ মামলাটি সৃজন করা হয়েছে। গলির ঘটনা সত্য হয়ে থাকলেও গুলি করেছে পুলিশ। অথচ তাদেরকে কোন আসামি করা হচ্ছে না। আসামি করা হচ্ছে নিরীহ শান্তিপ্রিয় নিরপরাধ মানুষদের। আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে আবেদন জানায়, এ ধরনের মিথ্যা মামলা থেকে জাতিকে রক্ষা করার জন্য জরুরী ভিত্তিতে পদক্ষেপ গ্রহণ করুন।