দশমিনায় চাল নিয়ে চালবাজি, বঞ্চিত প্রকৃত জেলেরা
দশমিনা ও দক্ষিণ (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২২ অক্টোবর ২০২৪, ১১:১৭ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
পটুয়াখালীর দশমিনায় জেলেদের জন্য বরাদ্দ হওয়া টন টন চাল নিয়ে চালবাজি করেছেন জনপ্রতিনিধিরা। প্রকৃত জেলেদের বাদ নিয়ে পছন্দের রাজনৈতিক দলের নেতাসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে চাল। এতে ক্ষুব্ধ জেলেদের কারণে ভেস্তে যেতে পারে মা ইলিশ রক্ষার পরিকল্পনা। অন্যদিকে বিএনপিপন্থি ইউপি সদস্যদের ভয়ে তটস্থ জেলেরা প্রতিবাদ করতে সাহস পাচ্ছেন না।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ১৩ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত নদীতে ইলিশসহ সব ধরনের মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা দেয় সরকার। এ সময় মাছ ধরায় নিরুৎসাহী করতে সরকার উপজেলার ৮ হাজার ৬২৯ জেলের মধ্যে রনগোপালদী ইউনিয়নের ২১২০, দশমিনা সদর ইউনিয়নের ২২৩০, বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের ১৩৫৫ ও চরবোরহান ইউনিয়নের ১২৯৫ জন জেলেসহ মোট ৭ হাজার জেলের মধ্যে বিতরণের জন্য ২৫ কেজি করে ১৭৫ মেট্রিকটন চাল বরাদ্দ করা হয়।
গত ১৬ ও ১৭ অক্টোবর দশমিনা সদরে চাল বিতরণে অনিয়মের আশ্রয় নেওয়া হয়। ওই দুই দিন উল্লেখযোগ্য একটি সংখ্যার জেলে বাদ দিয়ে সাবেক ছাত্রদল নেতা, ব্যবসায়ী, রিকশাচালক ও ইলেক্ট্রিশিয়ানসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের মাঝে চাল বিতরণ করা হয়। কেউ কেউ চালের জন্য নির্ধারিত স্লিপ বিক্রির অভিযোগ তোলেন ইউপি সদস্যদের বিরুদ্ধে। জেলেরা নিবন্ধিত জেলের সংশোধন দাবি করেন।
হাবিবুর রহমান নামে সদর ইউনিয়নের এক জেলে বলেন, আমি চালের স্লিপ পাইনি। আমাকে বাদ দিয়ে অন্য লোকদের দেওয়া হয়েছে। স্লিপ চাইলে খারাপ ব্যবহার করা হয়েছে।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম বলেন, ভুয়া জেলে থাকলে জেলে নিবন্ধন কমিটির মাধ্যমে তা বাদ দেওয়া হবে।
সদ্য যোগদান করা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইরতিজা হাসান বলেন, আমি নতুন এসেছি। বিষয়টি জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেব। তালিকা সংশোধনের সুযোগ থাকলে অবশ্যই সংশোধন করা হবে।