আ.লীগ আমলে সবচেয়ে বেশি নির্যাতনের শিকার হয়েছেন হেফাজত কর্মীরা
যশোর ব্যুরো
প্রকাশ: ২২ অক্টোবর ২০২৪, ১০:৫৭ পিএম
যশোরে সম্মেলনে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক বলেছেন, আইয়ামে জাহেলিয়াতের পর ‘আওয়ামী জাহেলিয়াত’ স্মরণীয় হয়ে থাকবে। আওয়ামী লীগ আমলে সবচেয়ে বেশি নির্যাতনের শিকার হয়েছেন হেফাজতের কর্মীরা। শাপলা চত্বরে অসংখ্য নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়। গ্রেফতার করা হয় ১ হাজার ৪শ’ নেতাকর্মীকে। ভারতের তাবেদার সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলার কারণে হেফাজত নেতাকর্মীদের ওপর এ নির্যাতন চালানো হয়।
মাওলানা মামুনুল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় যশোর কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে ‘শানে রেসালাত সম্মেলনে’ প্রধান বক্তার বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
হেফাজতে ইসলাম যশোর জেলা শাখা এ শানে রেসালাত সম্মেলনের আয়োজন করে। এতে সংগঠনটির বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী অংশ নেন।
কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে বিপুল জনসমাগমের কারণে পাশের মুজিব সড়ক, মাওলানা মোহাম্মদ আলী সড়ক, আদালত ও পৌরসভা সড়ক বন্ধ হয়ে যায়।
সম্মেলনে মাওলানা মামুনুল হক বলেন, বাংলাদেশকে ইসলামশূন্য করতে নানা ষড়যন্ত্র চলেছে। এই দেশে ‘বাহাত্তরের চেতনাকে’ ‘একাত্তরের চেতনা’ হিসেবে চালিয়ে দেওয়া হয়েছে। জুলাই বিপ্লবের চেতনাকে ঠিক একই কায়দায় নস্যাৎ করার ষড়যন্ত্র চলছে।
তিনি বলেন, জুলাই বিপ্লবের অভূতপূর্ব ঐক্য বিনষ্ট করতে নতুন ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। বাংলাদেশের শত্রুরা বিদেশের মাটিতে বসে আবার ষড়যন্ত্র করছে। এ ব্যাপারে সবাইকে সজাগ থাকতে।
প্রধান বক্তা আরও বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে যেমন নস্যাৎ করা হয়েছিল ঠিক একই কায়দায় জুলাই বিপ্লবের চেতনাকে নস্যাৎ করার ষড়যন্ত্র হচ্ছে।
তিনি বলেন, স্বাধীনতা অর্জন শুধু নয় মাসের লড়াইয়ে হয়নি। স্বাধীন দেশ অর্জন করতে আমাদের যুগ যুগ ধরে লড়াই করতে হয়েছে। তিন তিনটি আধিপত্যবাদী শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করতে হয়েছে। প্রথম লড়াই ছিল ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে, এরপর ১৯৪৭ সালে পশ্চিমবঙ্গের দাদাদের বিরুদ্ধে এবং সর্বশেষ ১৯৭১ সালে পশ্চিম পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। এসব লড়াইয়ে এদেশের অসংখ্য আলেম রক্ত দিয়েছে। অথচ এই স্বাধীনতার চেতনাকে ফ্যাসিবাদী আওয়ামী সরকার নানাভাবে বিকৃত করেছে।
তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, শিক্ষার্থীদের নাস্তিকতাবাদের মাধ্যমে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করলে হেফাজত মোকাবেলা করবে, কঠোর প্রতিরোধ গড়ে তুলবে।
সংগঠনের যশোর জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা আনোয়ারুল করীম যশোরীর সভাপতিত্বে সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব আল্লামা সাজিদুর রহমান।
বিশেষ অতিথি ছিলেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির মাওলানা মাহফুজুল হক, মাওলানা নাজমুল ইসলাম কাসেমী, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী এবং কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির মাওলানা মুশতাক আহমেদ, মাওলানা সাখাওয়াত হুসাইন।
আরও বক্তব্য রাখেন- হেফাজতে ইসলাম কুষ্টিয়া জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা আব্দুল হামিদ, খুলনা জেলা সভাপতি মুফতি গোলামুর রহমান, মাগুরা জেলা সভাপতি কাজী জাবেদ বিন মুহসীন তাজাল্লা, ঝিনাইদহ জেলা সভাপতি মাওলানা ওসমাস গনি, মুফতি আরিফ বিল্লাহ, যশোর জেলা শাখার উপদেষ্টা মাওলানা আব্দুল মান্নান, মুফতি মুজিবুর রহমান, হাফেজ মাওলানা বেলায়েত হোসেন, মাওলানা হামিদুল ইসলাম, মাওলানা নাজির উদ্দীন, মুফতি শামসুর রহমান, মুফতি হাফিজুর রহমান, মাওলানা মাসুম বিল্লাহ প্রমুখ।