বগুড়ায় সরকারের পক্ষে দেওয়ানি ও ফৌজদারি পরিচালনার জন্য বিএনপি ও জামায়াত সমর্থিত ১০৭ জনকে সরকারি আইন কর্মকর্তা ও প্যানেল আইনজীবী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। বগুড়া অ্যাডভোকেটস বার সমিতির সাবেক সভাপতি শফিকুল ইসলাম টুকুকে সরকারি কৌঁসুলি (জিপি) এবং সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুল বাছেদকে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটিরের (পিপি) দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

নবনিযুক্ত পিপি আবদুল বাছেদ জানান, মঙ্গলবার বিকালে তারা জেলা প্রশাসকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে যোগদান করেছেন। বুধবার থেকে কাজ শুরু করবেন।

তিনি আরও জানান, নিয়োগকৃতদের মধ্যে নয়জন জামায়াত, তিনজন আওয়ামী লীগ ও একজন গণফোরাম সমর্থিত আইনজীবী রয়েছে। তবে সাধারণ আইনজীবীরা বলেছেন, নিয়োগ করা ১০৭ জনের সবাই বিএনপি ও জামায়াত সমর্থিত; অন্য রাজনৈতিক দলের কাউকে রাখা হয়নি।

আইনজীবীরা জানান, বগুড়ায় জেলা জজ আদালত ও এর অধীন আদালত, বিশেষ জজ আদালত, নারী ও শিশু নির‌্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল এবং প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালে নিয়োগ করা ১০৭ জনের মধ্যে ১০২ জন আইন কর্মকর্তা ও পাঁচজন প্যানেল আইনজীবী।

গত ২০ অক্টোবর আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সলিসিটর অনুবিভাগের (জিপি, পিপি শাখা) উপ-সলিসিটর মো. মাহরুফ হোসাইন স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে সাময়িকভাবে এ নিয়োগ দেন।

এছাড়া একই প্রজ্ঞাপনে আগে নিয়োগপ্রাপ্ত সরকারি আইন কর্মকর্তাদের নিয়োগ বাতিল করে তাদের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেন।

অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি (অতিরিক্ত জিপি) হিসেবে নিয়োগ পাওয়া ১০ জন হলেন- শাহাদৎ হোসেন (১), মাহবুব আলম বাবলা, ফজলুল বারী ইন্টু, নুরুল ইসলাম, জাফরুল হাসান জুয়েল, আব্দুল ওয়াহিদ, এটিএম জিন্নুল হক, খায়রুজ্জামান জামান, মাহফুজার রহমান মাসুদ ও এমদাদুল হক। এছাড়াও সহকারী সরকারি কৌঁসুলি (এজিপি) হিসেবে ১৮ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

প্রথম নারী ও শিশু নির‌্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) হিসেবে আলী আজগার ও এপিপি হিসেবে কারিমুল ইসলাম বকুল এবং এনামুল হক পান্না। দ্বিতীয় নারী ও শিশু নির‌্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি হিসেবে মোজাম্মেল হক, এপিপি হিসেবে আবদুর রাজ্জাক মনি ও আতাউর রহমান আতিক।

সুফিয়া বেগম কোহিনুরকে শিশু আদালতের পিপি ও হারুন অর রশিদকে (১) বিশেষ জজ আদালতের পিপি। জহুরুল হক জাফর, সেলিম রেজা, আবদুল হান্নান মাসুদ, মঞ্জুর-এ-আলম মন্নু ও সাজিদ ওয়াসিক বাঁধনকে প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালের প্যানেল আইনজীবী হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন।

অতিরিক্ত পিপি হিসেবে নিয়োগ পাওয়া ১৯ জন হলেন- লুৎফর রহমান প্রামাণিক, এজিএম শামছুদ্দীন স্বপন, মোস্তফা রেজাউল করিম, এফইএম আসাদুজ্জামান মাখন, টিএম তারিকুল ইসলাম সাচ্চু, এমএকে ফজলুল হক, নূর-এ-আজম বাবু, রেজানুল ইসলাম রেজা, নাজমুল হুদা পপন, শাহাজাদী লায়লা আরজুমান বানু, মাসফিকুর রহমান তালুকদার রুবেল, আরাফাত খাতুনে জান্নাত নীলা, হাবিবুর রহমান (১), এসএম মাসুদার রহমান স্বপন, একেএম হুমায়ন কবির, মোসলেম উদ্দিন লিটন, আজাদ হোসেন তালুকদার, ইখতিয়ার উদ্দিন এবং শফিকুর রহমান শফিক।

এছাড়া এপিপি হিসেবে ৪৫ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।