কাশিমপুর কারাগার থেকে পলাতক মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার
টেকেরহাট (মাদারীপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২১ অক্টোবর ২০২৪, ১০:৩৫ পিএম
মাদারীপুরে হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ও কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে পলাতক আসামি উজ্জ্বল খানকে ময়মনসিংহ থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৮ মাদারীপুর ক্যাম্প এবং র্যাব-১৪।
রোববার রাত সাড়ে ৭টার দিকে এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-০৮, সিপিসি-০৩ মাদারীপুর ক্যাম্প এবং র্যাব-১৪, সিপিএসসি কোম্পানি গোপন সংবাদে যৌথ অভিযান চালিয়ে ময়মনসিংহের সদর থানাধীন চরপাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
উজ্জ্বল খান (২৯) মাদারীপুর সদর উপজেলার রকেটবিড়ি রোড এলাকার মৃত শুক্কুর খানের ছেলে।
রোববার রাত ১১টার সময় র্যাব-৮ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানায়, ২০১৩ সালে মাদারীপুর সদর উপজেলার রকেটবিড়ি এলাকার শাহআলম খাঁয়ের মেয়ে শাহাজাদী বেগমের (১৮) সঙ্গে তার প্রেমিক শরীয়তপুরের পালং থানার খালেক সরদারের ছেলে বাবু সরদারের (২০) বিয়ে হয়। ওই বছরের ২৮ জুলাই শ্বশুরবাড়ি থেকে শাহাজাদীকে নিয়ে বের হয় বাবু। এরপর থেকেই শাহাজাদীর পরিবারের লোকজন তাদের আর কোনো খোঁজ পায়নি। এমনকি বাবুর পরিবারের লোকজনের সঙ্গেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
এ ঘটনার পর ২০১৩ সালের ৯ আগস্ট মাদারীপুর সদরের পাঁচখোলা এলাকায় আড়িয়াল খাঁ নদ থেকে শাহাজাদীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের মা নাছিমা বেগম বাদী হয়ে শাহাজাদীর স্বামী বাবু সরদার, শ্বশুর খালেক সরদার ও শাশুড়ি মেহেরজানের বিরুদ্ধে মাদারীপুর সদর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত শেষে আসামি বাবু, উজ্জ্বল ও নাঈমের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ। অপর আসামি খালেক সরদার ও মেহেরজানকে অব্যাহতি দেন।
এ মামলায় মাদারীপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালত আসামি বাবু সরদার, উজ্জ্বল খান ও নাঈম চৌকিদারকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ প্রদান করেন। তখন আসামি বাবু ও নাঈম গ্রেফতার হলেও আসামি উজ্জ্বল খান আত্মগোপনে থাকেন। ২০২৩ সালের ১৫ এপ্রিল উজ্জ্বল খান মাদারীপুরে গ্রেফতার হয় এবং পুলিশ তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করে। মাদারীপুর জেলা কারাগার কর্তৃপক্ষ ১৭ ফেব্রুয়ারি উজ্জ্বল খানকে কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার গাজীপুরে স্থানান্তর করে।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে সরকার পতন হলে দেশের আইনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা পরিস্থিতি কিছুটা ভেঙে পড়ে। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে উজ্জ্বল খান কাশিমপুর কারাগারে অবস্থানরত অপরাপর আসামিদের সঙ্গে পালিয়ে যান।