Logo
Logo
×

সারাদেশ

রাজশাহীতে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ১০ জন আহত

Icon

রাজশাহী ব্যুরো

প্রকাশ: ২১ অক্টোবর ২০২৪, ১০:২৭ পিএম

রাজশাহীতে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ১০ জন আহত

কমিউনিটি পুলিশের কমিটি গঠনে বিরোধের জের ধরে রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার পানানগর ইউনিয়নের তেবিলা গ্রামে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। রোববার দিনগত রাতে উপজেলার তেবিলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

আহতদের স্থানীয় স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আহতদের মধ্যে আব্দুল হালিম- (৪০), আব্দুল লতিফ (৪৫), জাহাঙ্গীর আলম (৫০), আজাহার আলী (৪২), সাইফুল ইসলাম (৪৪) ও রফিকুল ইসলাম রফিকের (৪১) জখম গুরুতর বলে জানা গেছে। আহতরা সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা রবিউল ইসলাম রবিনের অনুসারী।

দুর্গাপুর থানা পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ইব্রাহিম হোসেন রোববার রাতে পানানগর ইউনিয়ন কমিউনিটি পুলিশের কমিটি গঠন করতে যান। এ উপলক্ষে একটি সভা আহবান করা হয়। সেখানে বিএনপি নেতাকর্মীরাই উপস্থিত ছিল। সভায় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা রবিনের পক্ষ থেকে পুলিশ কর্মকর্তাকে সম্ভাব্য কমিটির একটি তালিকা দেওয়া হয়।

এ সময় সভায় উপস্থিত ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আলী হোসেন ক্ষিপ্ত হয়ে পুলিশ কর্মকর্তার কাছ থেকে তালিকাটি নিয়ে সবার সামনে ছিঁড়ে ফেলেন। এ ঘটনায় রবিন চেয়ারম্যানের অনুসারী নেতাকর্মীদের সঙ্গে বিএনপি নেতা আলী হোসেনের অনুসারীদের প্রথমে কথা কাটাকাটি ও পরে সংঘর্ষ বেঁধে যায়।

রবিন চেয়ারম্যানের পক্ষের অভিযোগ বিএনপি নেতা আলী হোসেনের দুই ছেলে মুরশিদুল হোসেন ও মাহাতাব হোসেন দেশীয় অস্ত্রসহ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে রবিন চেয়ারম্যানের অনুসারীদের ওপর বেপরোয়া হামলা চালায়। এতে ১০ জন বিএনপি নেতাকর্মী আহত হন।

বিএনপি নেতা রবিন চেয়ারম্যান অভিযোগে বলেন, আলী হোসেনের ক্যাডারদের হামলায় আমার ১০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে আব্দুল হালিম ও আব্দুল লতিফের অবস্থা গুরুতর। বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। আমরা দলীয় পর্যায়ে অভিযোগ করব।

এদিকে অভিযোগ অস্বীকার করে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আলী হোসেন বলেন, তারা কমিউনিটি পুলিশের কেউ না। কমিটি গঠন বাধাগ্রস্ত করতে রবিন অনুসারীরা পরিকল্পিতভাবে সংঘর্ষ বাঁধিয়েছে। তবে কেউ আহত হয়নি বলে দাবি করেন তিনি।

 

এ বিষয়ে দুর্গাপুর থানার এসআই ইব্রাহিম হোসেন বলেন, ওই এলাকায় কমিউনিটি পুলিশের একটি কমিটি গঠনের জন্য গিয়েছিলাম। তবে তালিকা নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে আমি চলে আসি। শুনেছি কয়েকজন আহত হয়েছেন।

দুর্গাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দুরুল হোদা বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। উত্তেজনা থাকলেও এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে।

তিনি আরও জানান, সোমবার দুপুর পর্যন্ত কোনো পক্ষই থানায় অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম