ডিউটি না করেই বেতন নেন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা নুর হোসেন
ফরিদগঞ্জ (চাঁদপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২০ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:৫৯ পিএম
এক মাস, দুই মাস নয়, মাসের পর মাস রোগীদের সেবা না দিয়েই বেতনসহ সরকারি সব সুবিধা ভোগ করছেন ফরিদগঞ্জ উপজেলা ৮নং পাইকপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের ইনচার্জ উপসহকারী কমিউনিটি মেডিক্যাল অফিসার (স্যাকমো) মো. নুর হোসেন।
কর্মব্যস্ততা ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডিউটি করেন এ অজুহাতে এখানে এসে রোগী দেখেন না। এমনকি হাজিরা বইতে নেই স্বাক্ষর। ২০২৩ সালে যোগদানের পর থেকে এ পর্যন্ত স্বাস্থ্যকেন্দ্রে মাসে তিন থেকে চার দিন অফিস করেলেও সর্বশেষ গত ১ আগস্ট থেকে একদিনের জন্যও অফিসে আসেননি।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার নুর হোসেন এর দরজা বন্ধ এবং স্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিটি কক্ষে ধুলাবালি ও ময়লা আবর্জনায় ভরা।
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ কেন্দ্রে ডাক্তার এর জন্য অপেক্ষারত রোগীরা জানান, গত ১লা আগস্টের পর থেকে ডাক্তারের দেখা পায়নি। অবসরপ্রাপ্ত একজন পিয়ন মিজান প্রাথমিক কিছু চিকিৎসার ঔষধ প্রদান করেন।
পিয়ন মিজানুর রহমান জানান, ডাক্তার দুই তিন মাস আসেন না। রোগী আসলে বলতে হয় কাল আসবে।
অভিযোগের বিষয়ে উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার নুর হোসেন জানান, এ বিষয়ে কথা বলতে পারবেন না।
এ বিষয়ে ফরিদগঞ্জ উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আসাদুজ্জামান জুয়েল জানান, ইউনিয়ন উপস্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক অনুপস্থিতির বিষয়ে আপনাদের মাধ্যমে জানতে পারলাম। তদন্তে সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
স্থানীয় ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ফারুক আহমেদ মিয়াজি বলেন, গত ৩ মাসেও ডাক্তার দেখা যায়নি। প্রতিদিনই রোগীরা এসে ভিড় করে। আমাদের দুই তিনটা ইউনিয়ন মিলে এই একটি মাত্র উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র। আমাদের ইউনিয়ন ব্যতীত অন্যান্য ইউনিয়ন থেকে স্বাস্থ্য সেবার জন্য প্রতিদিনই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগী আসেন, কিন্তু ডাক্তারের দেখা মেলে না।