বিয়ে করতে যাওয়ার পথে বরের ওপর সাবেক স্ত্রীর হামলা
গাইবান্ধা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ১১:৫৪ এএম
ছবি:সংগৃহীত
গাইবান্ধার সাদুল্লাহপুর উপজেলার ঘরে বউ থাকতে আরেকটি বিয়ে করতে যাওয়ার সময় প্রথম স্ত্রীর স্বজনদের হামলায় পাত্রসহ ১০ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার সন্ধ্যায় সাদুল্লাহপুর উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের ফকিরপাড়া গ্রামে। পরে বিষয়টি থানা পুলিশ পর্যন্ত গড়ালে প্রথম স্ত্রীর মোহরানা পরিশোধের চুক্তিতে ঘটনাটি মীমাংসা করা হয়।
দীর্ঘদিন আগে ওই গ্রামের জাহিদুল ইসলামের ছেলে শফিকুল ইসলাম (২৫) পারভীন খাতুন (২০) নামে এক নারীকে বিয়ে করেন। তাদের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হলে স্ত্রীকে তালাক দেন শফিকুল। এতে দুই পরিবারের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই দ্বন্দ্ব চলে আসছিল।
এরই একপর্যায়ে জামালপুর ইউনিয়নের পাতিল্যাকুড়া-চকদাড়িয়া (উত্তরপাড়া) গ্রামে দ্বিতীয় বিয়ে ঠিক হয় শফিকুলের। শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে শফিকুল ইসলাম তার লোকজন নিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করতে মাইক্রোযোগে রওনা হয়। পথিমধ্যে ফকিরপাড়া নামক স্থানে পৌঁছালে পারভীন ও তার লোকজন হামলা চালায়। এতে বর শফিকুলসহ ১০ যাত্রী আহত হন।
২০২২ সালের জানুয়ারিতে ফকিরপাড়া গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের মেয়ে পারভীনের সঙ্গে রসুলপুর (মধ্যপাড়া) শফিকুল ইসলামের বিয়ে হয়। এতে দেনমোহর করা হয় চার লাখ টাকা। তাদের দাম্পত্য জীবনে প্রায় আড়াই বছর পার হয়। পারিবারিক দ্বন্দ্বের কারণে তিন মাস আগে শফিকুল স্ত্রীকে তালাক দেন। তালাক দেওয়া হলেও ওই দেনমোহরের টাকা পরিশোধ করেনি শফিকুল ইসলাম।
পারভীন খাতুন বলেন, শফিকুল ইসলাম আমাকে বিয়ে করে আড়াই বছর সংসার করার পর তালাক দিয়েছে। তালাকের প্রায় তিন মাস হলেও আমার দেনমোহরের টাকা বুঝিয়ে দেওয়া হয়নি। এই টাকা না দিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করতে যাওয়ার পথে শফিকুলকে পথরোধ করা হয়।
রসুলপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য ছাপের আলী বলেন, সাবেক স্ত্রী পারভীন তার দেনমোহরের দাবিতে শফিকুলকে পথরোধ করেন। এ বিষয়ে সাদুল্লাহপুর থানার এসআই শফিকুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে বর শফিকুল ইসলামকে উদ্ধার করে থানায় নেওয়া হয়েছে।
ওসি মো. তাজউদ্দীন তাজউদ্দিন খন্দকার জানান, থানায় নিয়ে আসার পর উভয়পক্ষ বসেন। প্রথম স্ত্রীর দাবি অনুযায়ী দেনমোহর পরিশোধ এবং বিয়ের সময় যা দেওয়া হয়েছিল তা পরিশোধ করার চুক্তিতে বিষয়টি সমাধান করা হয়।