মেয়েকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় মাকে বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ
কোম্পানীগঞ্জ (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ১০:২৭ পিএম
প্রতীকী ছবি
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় মেয়েকে (২৬) কুপ্রস্তাব দেওয়াসহ উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় মাকে (৪০) গাছে বেঁধে নির্যাতন ও বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ৪ জনকে আসামি করে কোম্পানীগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী গৃহবধূ।
তবে অভিযুক্তদের দাবি, জায়গা-জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে তাদের মামলা দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
বুধবার রাত ৮টায় মুছাপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের নজির মাঝির বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় অভিযুক্তরা হলেন- ওই বাড়ির অলি উল্যাহ লিটন (৫০), তার ছেলে মো. রিয়াদ (২২), অলি উল্যাহ লিটনের ভাই সাহাব উল্যাহ কালা ও কালার ছেলে মো. মেহরাজের (২৪)।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসা এক সন্তানের জননী মেয়েকে ঘরে একা পেয়ে কুপ্রস্তাব দেওয়াসহ উত্ত্যক্ত করেন রিয়াদ ও মেহরাজ। এ ঘটনায় তার মা প্রতিবাদ করলে তাকে ধরে নির্জন পুকুরপাড়ে নিয়ে শিকল দিয়ে গাছের সঙ্গে হাত-পা বেঁধে নির্যাতন করে রক্তাক্ত করা হয়। একপর্যায়ে বখাটেরা ওই নারীকে বিবস্ত্র করে মোবাইলে ছবি-ভিডিও ধারণ করেন।
অভিযোগের বিষয়ে অভিযুক্ত অলি উল্যাহ লিটন বলেন, আমাদের প্রতিবেশী কাজী সফিকের সঙ্গে জমিজমার বিষয়ে দীর্ঘদিন পারিবারিক বিরোধ চলছে। সেই বিরোধের জেরে বৃহস্পতিবার বাড়ির নারীরা ঝগড়া করেছে। আমরা দুই ভাইসহ ছেলেরা ছিলাম বাজারে। কাজী সফিক ওই নারীদের দিয়ে আমাদের নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছেন।
এ বিষয়ে কাজী সফিকুল হাসান তার জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করে বলেন, ওই জমি আমরা ৪০ বছর আগে কিনেছিলাম। আমি নই, তারা বারবার আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে।
মুছাপুর ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার জাকার হোসেন রাশেদ বলেন, বুধবার রাতে ওই বাড়িতে গণ্ডগোল হওয়ার কথা লোকমুখে শুনেছি। তবে কেউ জানাননি। আমি দোকান করি। ব্যস্ত থাকায় নিজে গিয়ে খোঁজখবর নিতে পারিনি।
কোম্পানীগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবদুস সুলতান বলেন, এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।