দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ উপদেষ্টা ফারুক-ই আজম বলেছেন, দেশে যে পরিমাণ লুটপাট হয়েছে, তার তুলনায় এই বাঁধ নির্মাণের খরচ ধুলোর সমান। আপনারা ভুক্তভোগী। সমস্যাগুলো আপনারাই ভালো জানেন। আপনাদের পরামর্শক্রমে জনগণের দুর্ভোগ লাগবে এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান করা হবে।

শুক্রবার শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে পাহাড়ি ঢলে মহারশি নদীর বেড়িবাঁধের বিভিন্ন ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনকালে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় ত্রাণ উপদেষ্টা সরকারি কর্মকর্তাদের সমন্বয় করে পুনর্বাসন কাজ করার তাগিদ দেন। 

বন্যা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন শেষে ক্ষতিগ্রস্ত ২০টি পরিবারকে নগদ ৬ হাজার করে টাকা, ২ বান্ডিল করে ঢেউটিন এবং ৪৫টি পরিবারকে খাদ্য সহায়তা প্রদান করেন ত্রাণ উপদেষ্টা।

এ সময় জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী নকিবুজ্জামান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুল আলম রাসেল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দিদারুল আলমসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

গত ৪ অক্টোবর ভারিবর্ষণ ও আকস্মিক পাহাড়ি ঢলে শেরপুরের ৫ উপজেলা প্লাবিত হয়ে ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট, বিভিন্ন ফসলের আবাদ, পুকুর-খামারের মাছ, গবাদিপশুর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি সাধিত হয়।

এর আগে উপদেষ্টা বৃহস্পতিবার রাতে শেরপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের হল রুমে জেলা প্রশাসনের ও জেলা পর্যায়ের বিভিন্ন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।