Logo
Logo
×

সারাদেশ

মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা

নৌকা মেরামত-জাল বুনে সময় পার করছেন জেলেরা

Icon

রায়পুর (লক্ষ্মীপুর)

প্রকাশ: ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ১২:৩৮ পিএম

নৌকা মেরামত-জাল বুনে সময় পার করছেন জেলেরা

মা ইলিশ রক্ষায় লক্ষ্মীপুরের রায়পুরসহ চার উপজেলার মেঘনা নদীতে ২২ দিনের মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা চলছে। নিষেধাজ্ঞা মেনে নদীতে মাছ শিকারে নামছেন না জেলেরা। জেলেরা ট্রলার এবং নৌকাগুলো নদীর তীরে নোঙর করে রেখেছেন। তাই মাছ শিকারের ট্রলার মেরামত এবং জাল বুনে সময় পার করছেন জেলেরা।

তবে নদীতে এবার ইলিশ কম ধরা পড়ায় আয়-রোজগার কম হয়েছে জেলেদের। এতে নিষেধাজ্ঞার ২২ দিনে পরিবার পরিজন নিয়ে কীভাবে দিন পার করবেন তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন তারা।

এদিকে মৎস্য বিভাগ থেকে জেলার ৩৯ হাজার ৭৫০টি জেলে পরিবারের জন্য ৯৯৩ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেক জেলে পরিবারকে ২৫ কেজি করে চাল দেওয়া হবে।

যদিও প্রতি পরিবারের জন্য ২৫ কেজি চালকে যথেষ্ট মনে করছেন না জেলেরা। অভিযানে খাদ্য সহায়তার পরিমাণ আরও বাড়ানোর পাশাপাশি প্রকৃত জেলেদের সহায়তার আওতায় আনারও দাবি জেলে পরিবারের।  

অন্যদিকে নিষেধাজ্ঞা মেনে চলতে নদীতে অভিযান পরিচালনার কথা জানায় মৎস্য বিভাগ। আইন অমান্যকারী জেলেদের জন্য জেল-জরিমানার বিধান রয়েছে।  

রায়পুরের চান্দারখাল নামক মাছঘাট এলাকার ট্রলার মালিক ইসমাইল মাঝি বলেন, ট্রলারে ১৮ জন মাঝি-মাল্লা মাছ শিকারে নিয়োজিত। তারা অভিযান শুরুর আগেই গভীর সমুদ্র থেকে উঠে এসেছে। অবসর সময়ে জেলেরা  মাছ শিকারের জাল বুনে নিচ্ছে, অভিযান শেষ হলেই যাতে মাছ শিকারে নামতে পারেন।  

তিনি বলেন, এবার জালে তেমন একটা মাছ ধরা পড়েনি। তাই আয়-রোজগারও কম হয়েছে। কীভাবে নিষেধাজ্ঞার ২২ দিন সংসার চলবে, জেলেরা সেই নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছে।  

ওই এলাকার জেলে মাইনুদ্দিন বলেন, নিষেধাজ্ঞা মেনে নদী থেকে উঠে আসছি। জালগুলো মেরামত করে বাড়ি যাব। তবে এবার অর্থ সংকটে আছি। জালে মাছ ধরা পড়েনি। তাই পকেট এবার ফাঁকা। আমাদের মধ্যে অনেক জেলে সরকারি চালও পায় না। আবার জেলে নয়, এমন লোকজন চাল পায়।  

জেলে আবিদ মাঝি বলেন, মাছ ধরা বন্ধ। তাই অবসর সময়ে নৌকা মেরামত করে নিচ্ছি।  

আলতাফ মাস্টার মাছ ঘাটের আড়তদার খালেক বেপারী বলেন, জেলে পরিবারের জন্য মাত্র ২৫ কেজি করে চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়। যা অপ্রতুল। ২৫ কেজি চাল কোনো পরিবারের এক সপ্তাহ বা ১০ দিনের বেশি দিন যাবে না। জেলেদের জন্য খাদ্য সহায়তায় চালের পরিমাণ আরও বাড়ানোর দাবি তার।  

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিল্লাল হোসেন বলেন, সরকার ঘোষিত ২২ দিন সারাদেশে ইলিশ আহরণ, পরিবহণ, বাজারজাত, মজুদ, ক্রয়-বিক্রয়, বিনিময় সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ও দণ্ডনীয় অপরাধ। এ সময় আইন অমান্যকারীকে কমপক্ষে এক বছর থেকে সর্বোচ্চ দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড অথবা পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম