রাঙামাটিতে শুভ প্রবারণা পূর্ণিমা উদযাপন
রাঙামাটি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:৫৪ পিএম
যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যপূণ পরিবেশে বাংলাদেশের প্রধান বৌদ্ধধর্মীয় প্রতিষ্ঠান রাজবন বিহারসহ রাঙামাটিতে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের শুভ প্রবারণা পূর্ণিমা উদযাপিত হয়েছে। প্রতিবছর আষাঢ়ী পূর্ণিমা থেকে আশ্বিনী পূর্ণিমা পর্যন্ত বৌদ্ধভিক্ষুদের তিনমাস বর্ষাবাস অধিষ্ঠান শেষে অনুষ্ঠিত হয় শুভ প্রবারণা উৎসব।
এর পরপরই বিহারে বিহারে আয়োজন শুরু হয় দুই দিনব্যাপী কঠিন চীবর দানোৎসব।
বৃহস্পতিবার শুভ প্রবারণা উৎসব উপলক্ষে রাঙামাটিতে বিভিন্ন বৌদ্ধ বিহারে ভোর থেকে দিনব্যাপী পালিত হয়েছে ধর্মীয় নানা আচার-অনুষ্ঠান। রাজবন বিহারে ভোরে ধর্মীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে উত্তোলন করা হয়েছে বুদ্ধ পতাকা।
এরপর ভিক্ষুসংঘের প্রাতরাশ, বুদ্ধপূজা, পিণ্ডদান, প্রবারণা পূরণ, বুদ্ধমূর্তি দান, সংঘদান, অষ্টপরিষ্কারদান, হাজারবাতি দান, পঞ্চশীল প্রার্থনা, উৎসর্গ, সদ্ধর্ম দেশনা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে অগণিত পুণ্যার্থীর সমাগম ঘটে।
এ সময় চাকমা সার্কেল চিফ রাজা ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায়, জেলা প্রশাসক মো. মোশারফ হোসেন খান, পুলিশ সুপার ড. এসএম ফরহাদ হোসেন, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক সদস্য শিক্ষাবিদ নিরুপা দেওয়ান, রাঙামাটি জেলা বিএনপির সভাপতি দীপন তালুকদার দীপুসহ গণ্যমান্য ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন।
এতে স্বাগত বক্তব্য দেন রাজবন বিহার উপাসক-উপাসিকা পরিষদের সহসভাপতি নিরুপা দেওয়ান এবং অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেছেন সাধারণ সম্পাদক অমীয় খীসা।
অনুষ্ঠান থেকে পাহাড়ে নিরাপত্তাজনিত কারণে এ বছর তিন পার্বত্য জেলায় কঠিন চীবর দানোৎসব বাতিল করা হয়েছে বলে জানান উপস্থিত বৌদ্ধভিক্ষুরা। পরে সমবেত পুণ্যার্থীদের উদ্দেশে সদ্ধর্ম দেশনা দেন রাজবন বিহারের আবাসিক ভিক্ষুপ্রধান শ্রীমৎ প্রজ্ঞালংকার মহাস্থবিরসহ অন্য বৌদ্ধভিক্ষুরা।
এদিকে রাঙামাটি বড়ুয়া কল্যাণ সংস্থার আয়োজনে শহরের আসামবস্তি বুদ্ধাংকুর বৌদ্ধ বিহারেও নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিনব্যাপী পালিত হয়েছে শুভ প্রবারণা পূর্ণিমা।
এ সময় সমবেত বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের সম্প্রীতির শুভেচ্ছা জানাতে উপস্থিত হন সেনাবাহিনীর রাঙামাটি সদর জোনের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এরশাদ হোসাইন চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে প্রবারণা পূর্ণিমার তাৎপর্য তুলে আলোচনার পাশাপাশি দেশের সার্বিক অগ্রগতি, সমৃদ্ধি ও বিশ্বশান্তি কামনায় প্রার্থনা করেন সমবেত পুণ্যার্থীরা।