Logo
Logo
×

সারাদেশ

রেজাল্ট শুনেই কান্নায় ভেঙে পড়লেন শহিদ সাগরের মা-বাবা

Icon

গলাচিপা ও দক্ষিণ (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৬ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:৪৯ পিএম

রেজাল্ট শুনেই কান্নায় ভেঙে পড়লেন শহিদ সাগরের মা-বাবা

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহিদ পটুয়াখালীর গলাচিপার উলানিয়া হাট মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী সাগর গাজী ৩ পয়েন্ট ৯২ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন।

মঙ্গলবার দুপুরে ছেলের রেজাল্ট পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন সাগরের মা শাহিদা বেগম।

তিনি জানান, তার ছেলে বেঁচে থাকলে রেজাল্ট পেয়ে অনেক খুশি হতো। ছেলে বলত এক সময় সেই পরিবারের হাল ধরবে। পরিবার নিয়ে কত কথা বলতে সে। পড়াশোনা শেষ করে সাগর ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার স্বপ্ন দেখত বলেও জানান তিনি।

সাগরের বাবা সিরাজুল ইসলাম গাজী পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি ও মা সাহিদা বেগম গৃহিণী। সাগর তিন ভাইয়ের মধ্যে সবার ছোট। সে ২০২১ সালে এসএসসি পরীক্ষায় উপজেলার উলানিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের মানবিক বিভাগ থেকে উত্তীর্ণ হয়। ২০২৩ সালে একই কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে একটি বিষয়ে উত্তীর্ণ হতে পারে নাই। এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় সেই বিষয়ে অংশ নেন সাগর। নিহতের দুই মাস আগে উত্তরা এলাকায় সিটি অনলাইন কোম্পানিতে চাকরিতে যোগদান করেন।

কোটাবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সক্রিয় কর্মী ছিল সাগর। মৃত্যুর একদিন আগে তার ফেসবুকের প্রোফাইলে পোস্ট দিয়েছিলেন- ‘আজ যদি আমি মারা যাই, বিজয়ের পর আমার কবরে একটা পতাকা দিয়েন।’ তার শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী, তার কবরের সামনে টানানো হয়েছিল জাতীয় পতাকা।

নিহত সাগরের রেজাল্ট পেয়ে খুশি তার বড় ভাইও কিন্তু শোকাহত পরিবেশে স্তব্ধ হয়ে আছেন তিনি। সাগরের স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে গেল। এ সময় আবেগাপ্লুত হয়ে ভাই হত্যার বিচার চান তিনি।

একই অবস্থা সাগরের শিক্ষক ও সহপাঠীদেরও। এ সময় তারা সাগরসহ বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে মারা যাওয়া সবার হত্যার বিচার চান। এ হত্যার বিচার না হলে শহিদের রক্তের সঙ্গে অবিচার করা হবে বলেও মন্তব্য করেন তারা।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম