বিএনপি নেতার করা মামলায় আ.লীগের ৩০ নেতার জামিন
ভেদরগঞ্জ (শরীয়তপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৬ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:৩৬ পিএম
শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলা গৈড্যা দাস বাড়ি মন্দিরে পাহারার সময় বিএনপি কর্মীদের ওপর হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আওয়ামী লীগের ৩০ নেতাকর্মীকে জামিন দিয়েছেন আদালত। বুধবার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ কোর্টের বিচারক শেখ তারিক এজাজ তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।
তবে মামলার প্রধান আসামিসহ ১৬ জন আওয়ামী লীগের নেতা এখনো পলাতক রয়েছেন।
এর আগে বিএনপি কর্মী মেহেদী হাসান ৪৬ জনকে আসামি করে মামলা করলে বুধবার আওয়ামী লীগের ৩০ নেতাকর্মী আদালতে হাজির হয়ে জামিন চাইলে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।
মামলায় জামিন পেলেন যারা- ইয়াছিন মৃধা, হক সরদার, নাছির সরদার, ইব্রাহিম শিকদার, বাবুল হাওলাদার, মাহাবুব, আবু বক্কর সরদার, আশিক হাওলাদার, হারুন বেপারী, শাহাদাত রাড়ী, তাহের হাওলাদার, আবুল মাদবর, ফারুক সরদার, রুবেল মীর, জুয়েল মৃধা, শাকিল বেপারী, রনি ভূঁইয়া, মেহেদী সরদার, মুজাহিদ মাঝি, শাহআলম হাওলাদার, অশ্রু হাওলাদার, সায়েদুর রহমান, আশিক, সুজন মুন্সি, ইপু তালুকদার, শহিদ হাওলাদার, জসিম চৌকিদার, আ. রব মৃধা, রুহুল মৃধা, মোসলেম উদ্দিন চৌকিদার।
অন্যদিকে পলাতক রয়েছেন- ভেদরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি জব্বার রাড়ী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান হাওলাদার, ভেদরগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন হিরু, ছাত্রলীগ নেতা সামির খান, যুবলীগের যুবলীগ নেতা, উজ্জ্বল বেপারী, শিপন মৃধা সেকান্দার ঢালী, বাপ্পি মাঝি, শামীম চৌকিদার, এনায়েতুল্লাহ সরকার, সোহান সরদার, নান্নু বেপারী, আলমগীর ঢালী, নুরে আলম, উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা তনু তহসিলদার ও রোবেল মুন্সি।
এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যাবার পরদিন ৬ আগস্ট সকালে বিএনপি কর্মী মেহেদী হাসানসহ নেতারা ভেদরগঞ্জ পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডে গৈড্যা দাস বাড়ি মন্দিরে পাহারা দিচ্ছিলেন। আওয়ামী লীগ নেতা জব্বার রাড়ীর নেতৃত্বে জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে মন্দির ভেঙে ফেলার হুমকি দেন নেতাকর্মীরা। পরে বিএনপি নেতাকর্মীরা প্রতিবাদ জানালে আওয়ামী লীগ নেতা আবুল মাদবর, নুরে আলম, শামীম চোকদার, শাহ আলম হাওলাদারসহ ৪৬ জন হামলা চালায়।
এ সময় হামলাকারীরা ৮ লাখ টাকার চারটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেয়। বিএনপি নেতাকর্মীদের কুপিয়ে জখম করে। পরে গত ২২ সেপ্টেম্বর মেহেদী হাসান বাদী হয়ে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালতে একটি মামলা করেন।
আসামিদের পক্ষের আইনজীবী জহিরুল ইসলাম বলেন, গত ২ অক্টোবর তাদের ৪৬ জন আসামির মধ্যে ৩০ জনকে জামিন নামঞ্জুর করেছিলেন আদালত। বুধবার তাদের জামিনের জন্য আবার আবেদন দেওয়া হয়েছিল। আদালত আওয়ামী লীগের ৩০ নেতাকর্মীর জামিন মঞ্জুর করেন। বাকি আসামিরা এখনো জামিনের আবেদন করেননি।